পটুয়াখালী প্রতিনিধি
বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের প্রাচীনতম মসজিদ মজিদবাড়িয়া শাহি মসজিদ। ১৫ শতকের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি অবস্থিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া গ্রামে। মসজিদটি প্রথম ইটের ভবন যা সুলতান রুকনুদ্দিন বারবক শাহের শাসনামলে নির্মিত। সুলতান রুকনুদ্দিন বারবক শাহের শাসনামলে তার মন্ত্রী খান-ই-আজম উজায়ের খান ৮৭০ হিজরিতে (১৪৬৫ থেকে ১৪৬৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে) এ দৃষ্টি নন্দন মসজিদটি নির্মাণ করেন। ১৫৮৪ সালে এক ঘূর্ণিঝড়ে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ অঞ্চলের অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় এলাকাটি ছিল চন্দ্রদ্বীপের রাজা কন্দর্পনারায়ণ রায়ের শাসনাধীন, তিনি বাকলায় তার রাজধানীও সরিয়ে নেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পর্তুগিজ জলদস্যুদের কারণে এ অঞ্চলের মুসলিমপ্রধান গ্রামগুলো জনশূন্য হয়ে পড়ে এবং এলাকাটি জঙ্গলে ঢেকে আবার সুন্দরবনের অংশ হয়ে ওঠে।
১৮৬০-এর দশকে ব্রিটিশরাজ সুন্দরবন চাষ করার পরিকল্পনা নেয় এবং মসজিদটি পুনরাবিষ্কার করে। বরিশাল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেনরি বেভারিজ মসজিদটি পরিদর্শন করেন। ১৯০৪ সালে বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিকোলাস বিটসন-বেলের অধীনে মসজিদের অভ্যন্তরীণ অংশ সংস্কার করা হয়। এলাকাটি তখন স্থানীয়দের দ্বারা মসজিদবাড়ি বা মসজিদবাড়িয়া নামে পরিচিত হয় এবং পরে মজিদবাড়িয়ায় পরিণত হয়। যদিও কেউ কেউ দাবি করেন মজিদ নামে স্থানীয় একজন চেয়ারম্যানের নামে মসজিদের নামকরণ হয়েছে। মসজিদটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।