Header Border

ঢাকা, বুধবার, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

নিমের ব্যবহারে উপকারিতা ও ঝুঁকি

নিম হচ্ছে প্রাকৃতিক ওষুধ, যা পাওয়া যায় নিমগাছ থেকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাজাদিরচটা ইন্ডিকা। ইন্ডিয়ান লাইল্যাক নামেও বেশ পরিচিত নিম।

নিমগাছের বীজ থেকে যে নির্যাস পাওয়া যায়, ঐতিহ্যগতভাবে এর বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। কীটনাশক বৈশিষ্ট্যের জন্য বেশ পরিচিতি রয়েছে নিমের। তবে চুল ও দাঁতের জন্যও দারুণ উপকারী পণ্য হিসেবে কাজ করে নিম। আজ আমরা জানব নিমের ব্যবহার, উপকারিতা ও ঝুঁকি।

নিম তেল সাধারণত কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এটি মশা ও মাছি তাড়াতে বেশ কার্যকর। এ ছাড়াও উইপোকা ও মথ তাড়াতে সাহায্য করে নিম। কিছু প্রসাধনী প্রস্তুতকারক পশুর শ্যাম্পুতে নিম যোগ করে, যা টিক (এক ধরনের পতঙ্গ) এবং মাছি তাড়াতে দারুণভাবে কাজ করে।

নিমে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাব রয়েছে এবং এটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। নিম যেমন মশার বিরুদ্ধে কার্যকর, তেমনি এতে থাকা অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। ম্যালেরিয়া একটি পরজীবী, যা কিছু মশা বহন করে। বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়ার কারণে প্রতি বছর প্রায় ২১৯ মিলিয়ন অসুস্থ এবং ৪ লাখ ৩৫ হাজার জন মারা যায়।

ব্যবহারঃ মানুষ সাধারণত নিমকে চুল ও ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে থাকেন। আবার কেউ কেউ আছেন নিমের নির্যাসকে ক্যাপসুল হিসেবে সেবন করেন।

নিমের তেল হলুদ অথবা বাদামি রঙের হয়ে থাকে। এর গন্ধ অনেকটা আদা বা সালফারের মতো। আর স্বাদের কথা বলতে গেলে এটি খুব তেতো।

অনেক ব্র্যান্ডের অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুর মূল উপাদান হিসেবে নিম ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, নিমে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল চুলে থাকা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।

১২ জন শিশুকে নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছিল। যাদের প্রত্যেকের মাথায় উকুন ছিল। সেই গবেষণায় দেখা গেছে- নিম দিয়ে তৈরি শ্যাম্পু দিয়ে তাদের একটি ট্রিটমেন্ট করার পর তাদের মাথায় থাকা উকুনগুলো দূর হয়ে যায়। এমনকি এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।

ডেন্টাল প্রোডাক্ট যেমন মাউথওয়াশ, টুথপেস্ট এবং টুথ পাউডারেও নিমের ব্যবহার হয়। নিম দাঁতের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে নিমের তৈরি টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার ফলে দাঁত সুস্থ থাকে। পাশাপাশি মাড়ির ব্যথা দূর করে।

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ বিভিন্ন প্রসাধনী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শ্যাম্পু, হেয়ার প্রোডাক্ট ও স্টাইলিং জেলে নিমের ব্যবহার করে থাকেন; কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছেন, যারা তাদের নিত্যদিনের ব্যবহারে শ্যাম্পু ও তেলে নিমের ব্যবহার করেন।

নিমের তেল চুলে ব্যবহার করলে এটি আপনার চুলকে ফ্রিজি হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।

দাঁতের সুস্থতার জন্য নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে তা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি ব্যথাও কমাতে সহায়তা করবে।

ঝুঁকিঃ যদিও বিশেষজ্ঞরা সাধারণত নিমের ব্যবহার নিরাপদ বলে মনে করেন, তবে কারও কারও জন্য এর ব্যবহার অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

প্রথমবার নিম ব্যবহার করার আগে, একটি পরীক্ষা করে নিন। এ জন্য হাতের ওপর নিমের কয়েক ফোঁটা রস নিয়ে ঘষুন। এরপর ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন, যদি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয়, তাহলে নির্ভয়ে নিম ব্যবহার করুন।

তবে যদি ফোলাভাব, চুলকানি বা অস্বস্তির কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে নিমের ব্যবহার এড়াতে হবে। এ ছাড়া কোনো শিশুর ওপর বা গর্ভাবস্থায় নিমের ওষুধ ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
লাইফস্টাইল কী?
প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করলে ডিপ্রেশন কমে
তীব্র ঠান্ডায় শরীর গরম রাখবে যেসব খাবার
যেসব গোপন ইচ্ছা নারীদের থেকে লুকিয়ে রাখেন পুরুষরা
বিয়েতে গায়ে হলুদের প্রচলন কীভাবে
বিয়ের পর নারীরা কেন মোটা হয়?

লাইফস্টাইল এর আরও খবর

সম্পাদক: অধ্যাপক মোঃ শাহাদাত হোসেন, প্রধান সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, প্রকাশক: আবু সাঈদ ইকবাল মাসুদ সোহেল, মিডিয়া ভিশন লন্ডন থেকে প্রকাশিত।   ঢাকা কার্যালয় (অস্থায়ী): শহীদ ভিলা, বাসা- ২৫, কাঠালবাগান, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২০৫