নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন বাংলাদেশে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু সহ একটি প্রতিনিধি দল।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, ভিসা নীতি, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলাপ হয়েছে তাদের। এ সময় বুধবারের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাতে গুলশানে সালমান এফ রহমানের বাসায় দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়। নৈশভোজ শেষে সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বৈঠকের আলোচনা নিয়ে ব্রিফ করেছেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, খোলামেলা আলাপ হয়েছে। সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উজরা জেয়ার দেখা হলো। দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও ঘনিষ্ঠ করা যায়। ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েও আলাপ হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি বলেছেন, নির্বাচন সম্পর্কে তাদের একই কথা- আমরা কোনও দলের পক্ষে নেই। আমরা কিন্তু সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরাও তাদের জানিয়ে দিয়েছি, ফ্রি ফেয়ার ইলেশকশন চাই।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগ বিএনপির সমাবেশ হয়েছে, সেখানে কোনও অসুবিধা হয়নি, সেটির প্রশংসা করেছে তারা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, ভিসা নীতি নিয়ে তারা বলেছেন, বিশেষ কাউকে টার্গেট করে এটা করা হয়নি। তাদের মতে, ভিসা নীতির কারণে বাংলাদেশের নির্বাচন ভালো হবে।
দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলেই র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তারা আমাকে বলেছে আমি কবে যুক্তরাষ্ট্রে যাবো, ‘তাদের সরকারের কারও সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলে তারা ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছে।
গুলশানে সালমান এফ রহমানের বাসায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকার উইং) খন্দকার মাসুদুল আলম।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন পিটার হাস, হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের পরিচালক (সাউথ এশিয়া) ব্রায়ান লুটি, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডার সেক্রেটারির বিশেষ সহকারী ব্রায়ান ওয়াকলি, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার সোফিয়া মুলেনবার্গ, পলিটিক্যাল কাউন্সেলর আর্তুরো হাইন্স।