ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও ছয়জন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
সদর উপজেলার নিহতরা হলেন- শুখানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন এবং একই এলাকার দুলালের ছেলে আরিফুল ইসলাম।
আহতরা হলেন- লাউথুতি গ্রামের বরকত আলীর স্ত্রী রিনা বেগম এবং হাফিজুল ইসলামের ছেলে ফারুক। আহত আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তারা ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অন্যদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান নিহত হয়েছে।
আহত তিনজন হলো বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের সবুজের ছেলে ফয়সাল, আমজানখোর ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে রিমান এবং মনিরুলের ছেলে সাকিবুল হাসান। তারা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
সদর উপজেলায় বজ্রপাতে নিহতের বিষয় শুখানপুকুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, তারা গ্রামে বাড়ির পাশে ভূল্লী নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনা স্থলে মনির হোসেন ও আরিফুল ইসলাম মারা যায়। এ ছাড়াও এ সময় রিনা বেগম তার ছেলেকে খুঁজতে গেলে তিনিসহ আরও দুজন আহত হয়।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম চয়ন বলেন, বালিয়াডাঙ্গীতে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তি হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। এ ছাড়াও সদর উপজেলায় বজ্রপাতে আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের অবস্থা বর্তমানে ভালো।