বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ ১১টি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (১৪ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান শুনানি মুলতবি করে নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে থাকা দন্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ এবং গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন জানিয়ে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি স্থগিত করা হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
উল্লেখ্য, ১১টি মামলার মধ্যে ১০টি ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা হয়েছিল এবং অন্যটি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সম্পর্কে রাষ্ট্রদ্রোহী মন্তব্য করার অভিযোগে ঢাকার একটি আদালতে দায়ের করা হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও তিনটি দুর্নীতি মামলা – গ্যাটকো, নাইকো এবং বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি – এখন ঢাকার অন্য তিনটি বিশেষ আদালতে বিচারাধীন।
এছাড়া দ্বিতীয় অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ ও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওই ঘটনায় পরের দিন ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়। অপরদিকে ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়া এসব মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।