নিজস্ব প্রতিবেদক
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানায়, এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে আবহাওয়া দফতর এ তথ্য জানায় এবং ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘ডানা’ রাখা হবে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ডানা বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতের দিকে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, এটি ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
ডানা বাংলাদেশে সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদেনিপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় আঘাত হানতে পারে। জোয়ারের সময় এই অঞ্চলে ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে, যা বিপজ্জনক।
ডানা সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, লঘুচাপটি গত ২৪ ঘণ্টায় শক্তি অর্জন করেছে এবং সোমবার বিকেল ৪টার সময় এর কেন্দ্র ১৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের উপরে ছিল। ওই সময় কেন্দ্রের চারপাশে বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার।
আগামী ২৩ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ডানা স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
জোয়ারের সময় যদি ডানা স্থলভাগে ওঠে, তাহলে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ভাটার সময় এই উচ্চতা ৩ থেকে ৫ ফুট হবে। বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলায় জোয়ারের সময় ৫ থেকে ৬ ফুট এবং ভাটায় ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হয়েছে।
নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে জোয়ারের সময় ৩ থেকে ৫ ফুট এবং ভাটায় ২ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। কক্সবাজারে জোয়ারের সময় ২ থেকে ৪ ফুট এবং ভাটায় ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস রয়েছে।