নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, তাঁর স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ৪১ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ৯৫৮ টাকা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
হারুনের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার ৮০৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হারুন অর রশীদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি প্রধানের পদসহ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
ক্ষমতা ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ও ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় হারুনের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তারকে। শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি (শিরিন আক্তার) প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের পরিচালক। ২০০৭ সাল থেকে সন্তানসহ স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন। হারুনের অবৈধ সম্পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এ সম্পদ গড়েছেন শিরিন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৪ এর ২৭(১) ও দণ্ডবিধি’র ১০৯ ধারায় অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন।
দুদকের তৃতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে হারুনের ছোট ভাই ডা. এবিএম শাহরিয়ারকে। তাঁর বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এবিএম শাহরিয়ার ২০১৯ সালে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করে বর্তমানে প্রেসিডেন্ট রিসোর্টসহ ৩টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মালিক। এই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
গত ২৪ অক্টোবর অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিবি হারুনসহ তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরসহ ১২ জনকে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর গত ১৮ আগস্ট হারুনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে শুরু করে দুদক।