Header Border

ঢাকা, সোমবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)

দাবি না মানলে পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অন্যথায় পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২৯ জুলাই ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন ও গণহারে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ সোমবার সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম।

মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় জনসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা বরকতুল্লাহ বুলু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, এডভোকেট জয়নুল আবদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রতন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২৮/৩০ তারিখে আওয়ামী লীগ ক্রিকেটের মতে গুগলি খেলেছে। অবৈধ সরকারের পুলিশ আমাদেরকে ২৭ জুলাই সমাবেশ করতে দিবে না। আমরাতো পরেরদিন করলাম। সেখানে প্রতিকূল পরিবেশেও টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। তাদের বার্তা ছিলো এই মুহূর্তে গদি ছাড়ো। আমাদের ছোট ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতেও সরকার ভয় পেয়েছে। তারা যুদ্ধের সাজে সাঁজোয়া যান নিয়ে নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা করেছে। প্রবীন নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে।

তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক থাকে না তারাই এগুলো করে। এই নাটকে তারাই ছোট হয়েছে। গয়েশ্বর-আমান ছোট হয়নি। এই সরকারের পায়ের নিতে মাটি নেই। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। চল্লিশ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এগুলো করে কি মানুষের ঢল থামানো গেছে। থামানো যায়নি যাবে না। সুতরাং এনাফ ইজ এনাফ।

মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েকটা লোককে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনেছে। একজন নাকি আমেরিকার। উনি কে? তাকে তো আমেরিকার কেউ চেনে না! গতবারও তাকে আনা হয়েছিলো। এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে আবারো নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। তবে দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন চায় না। আমরাও নির্বাচন চাই। সেটা হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আইয়্যুব খান ও ইয়াহিয়া খানের স্বৈরশাসন দেখেছি। কিন্তু এই সরকার যেভাবে শাসন করছে সেটা কখনো দেখিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর কি নির্যাতন করা হয়েছে! সাপের মতো পেটানো হয়েছে। সাপকেও এভাবে মারা হয় না। এরপর গ্রেপ্তার করেছে অনেককে। আমরা কি বাংলাদেশটা আওয়ামী লীগকে ইজারা দিয়েছি নাকি? কোনো অত্যাচার নির্যাতন করে টিকে থাকতে পারবে না।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সত্যিকারের চরিত্র আবারো জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে। কারণ এরা একদলীয় সরকার। এ জন্যই কাউকে কথা বলতে দেয়া হয় না।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ভালো ভালো সালাম দিয়ে চলে যান। না হলে চলে যেতে বাধ্য হবেন। তখনই হবে নাটকের শেষ। যত দ্রুত যাবেন ততই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে এবং চলবে। প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। যারা আমাদের আন্দোলন কর্মসূচিতে বাধা দিবেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ কিন্তু বসে থাকবেনা।

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
মানুষ পুড়িয়ে মারার পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে বিএনপি-জামায়াত: ড.আব্দুর রাজ্জাক
তফসিল ঘোষণা করলেই নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হাজীগঞ্জে বিশাল মিছিল
অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে বাংলাদেশ চলতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত না করে ঘরে ফিরে যাবো না: ড. জালাল উদ্দিন
শাহরাস্তিতে বিএনপির ৪৫ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

রাজনীতি এর আরও খবর

উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: ডঃ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপদেষ্টা সম্পাদক: অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম, প্রধান সম্পাদক: রোটাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিঃ মোঃ ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহা।
কার্যালয়: গ্রীন রোড, কাঁঠাল বাগান, ঢাকা ।