পুরনো স্মার্ট ফোনটি দিয়েও ভালোভাবেই কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। যদি ফোনটির কিছু বিষয় লক্ষণীয় হয়। বিশেষ করে যাদের পুরনো ফোন ব্যবহারে অভ্যাস হয়ে যায় তাদের জন্য গতি বাড়ানোর উপায়গুলো দেওয়া হলো-
মোবাইলফোনের স্টোরেজ ফাঁকা করতে হবে:
স্টোরেজ বেশি ভারি হলে তা ফোনের গতিকে কমিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ফোন ব্যবহারের ফলে ফোনে অপ্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও বা বিভিন্ন রকমের ডকুমেন্ট জমা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ক্যাশও জমতে থাকে। তাই ক্যাশগুলো ডিলিট করে আর অপ্রয়োজনীয় মেমরি খালি করে ফোনের স্পেস যতোটা ফাঁকা রাখা যায় ততোই ভালো। এতে ফোনের গতি এবং আয়ু বাড়ে। আবার ব্যাটারিও ভালো থাকে।
অ্যাপ কমানো:
ফোনে প্রয়োজনীয় অ্যাপের পাশাপাশি অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপও থাকে। অনেকেই শখে অনেক অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখেন যা কোনও কাজে আসে না। পুরনো ফোনে প্রয়োজনীয় অ্যাপ ছাড়া অন্য কোনও অ্যাপ না রাখাই ভালো। এতে ফোনের প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম ভালো থাকে এবং দ্রুত কাজ করে।
অ্যাপের লাইট সংস্করণ ব্যবহার:
অনেক অ্যাপেরই লাইট বা হালকা সংস্করণ থাকে। এগুলোতে খুব প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো থাকে। তাই এর মেমোরি স্পেসও কম লাগে। ফলে এগুলো ক্যাশও কম তৈরি করে থাকে। যেমন- ফেসবুক, ইমো ইত্যাদির লাইট সংস্করণ রয়েছে। পুরনো ফোনে এসব লাইট সংস্করণ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ডিভাইসের ওপর চাপ কম পড়ে ও অপারেটিং সিস্টেম ভালো থাকে। এছাড়া ব্যাটারির ওপরও চাপ ফেলে এগুলো। ফলে অ্যাপগুলো দ্রুত চলে আবার সেটও ভালো থাকে।
ওএস আপডেট রাখা:
পুরনো ফোনের পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো এর ওএস আপডেট রাখা। ওএস আপডেটেড আছে কিনা তা দেখতে ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাবাউট অপশনে যেতে হবে। সেখান থেকে সফটওয়্যার আপডেট অপশনে গিয়ে চেক করে দেখতে হবে সেটা আপডেটেড আছে কিনা। না থাকলে আপডেট করে নিতে হবে। এতে আগের সংস্করণের বাগ রিমুভ হয়ে পারফরম্যান্স ভালো হবে।
ফ্যাক্টরি রিসেট:
সবকিছু ঠিক থাকার পরও যদি ফোনের গতি খুব একটা না বাড়ে সেক্ষেত্রে শেষ একটি উপায় হলো ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট করে নেওয়া। তবে এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন অবশ্যই করতে হবে। কেননা এতে ফোনের সব ডেটা মুছে যাবে। তাই ফোনের প্রয়োজনীয় ডেটা বিশেষ করে এসএমএসগুলো সব ব্যাকআপ করে নিতে হবে। সেটিংসে গেলেই রিসেট অপশন পাওয়া যাবে।