নিয়ম অনুসারে নবনির্বাচিত সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানো হলেও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। তবে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশের ভেতরেও বিভিন্ন সংস্থা ও বিরোধী দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, এবারের নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি।
ভোট বর্জন করা রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভাষ্য, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নির্বাচিত সরকারের অধীনে এমন সুষ্ঠু নির্বাচনের নজির বাংলাদেশের ইতিহাসে নেই।
জাতিসংঘের নিয়মিত বিফ্রিংয়ে এক প্রশ্নকর্তা সংস্থার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকের কাছে জানতে চান, শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে জাতিসংঘের মহাসচিব দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সাজানো নির্বাচনের বিষয়টি উপেক্ষা করছেন কি না। অগণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার কমিশনের আগের অবস্থানের সঙ্গে বিষয়টি সাংঘর্ষিক কি না তাও জানতে চান তিনি।
জবাবে মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, ‘কেউ যখন পুনর্নির্বাচিত হয় তখন তাকে জাতিসংঘের মহাসচিব চিঠি পাঠিয়ে থাকেন। এই নিয়ম অনুসারেই সংস্থার মহাসচিব চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে দেশটির নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার কমিশন ও জাতিসংঘের আগের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।’