কর্মস্থলে ডেস্কে বসে কাজ করেন যারা তাদের বেশিরভাগই পিঠ ও কোমরের ব্যথায় ভোগেন। তাই অনেকে মনে করেন দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে বসে থাকার কারণে এমনকি ঘটে। তবে কোমরে ব্যথার বিভিন্ন কারণ রয়েছে।
স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ব্যথা এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়। যথাযথ চিকিৎসা নিলে বেশিরভাগ রোগী দুই মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায় বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
কোমরের হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে বা বংশগত কারণে ক্ষয় হয়ে যায়, তখন তাকে লাম্বার স্পন্ডিলাইসিস বলে। বড় কোনো আঘাতের ঘটনা ঘটলে, কোমর ব্যথার পাশাপাশি বুকে ব্যথা হলে, রোগীর আগে কখনো যক্ষ্মা হয়ে থাকলেও বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে।
ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিস, এইডস, দীর্ঘকাল স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবনের ইতিহাস থাকলে কোমর ব্যথা হয়। লিগামেন্ট হলো সুতার মতো টিস্যু যা বিভিন্ন হাড় ও জয়েন্টের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শরীরের পেশি ও লিগামেন্টে হঠাৎ করে টান বা চাপ খেলে কোমর ব্যথা হয়।
শরীর নিয়মিত সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও পিঠ ও কোমরে ব্যথা হতে পারে।