Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

দেশে তৈরী হচ্ছে ডেঙ্গুর টেষ্ট কিট

এবার দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। যা দিয়ে ১০ মিনিটেই ডেঙ্গু শনাক্ত করা যাবে। আর খরচও নেমে আসবে অর্ধেকে। এই কিট শতভাগ সঠিক তথ্য দিতে সক্ষম বলে দাবি গবেষকদের।

বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্-বিআরআইসিএম এরই মধ্যে অ্যান্টিজেন কিটটি তৈরির অনুমোদন পেয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মালা খান জানান, প্রায় আড়াই বছর গবেষণার পর সফলতা এসেছে।

এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, এরই মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করা হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ১০০ জনের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। যেখানে শতভাগ সফলতাও এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, গবেষনা ও পরীক্ষার প্রতিষ্ঠিত নিয়ম মেনেই প্রতিটি ধাপ এগিয়ে নেয়া হয়েছে। সকল তথ্য পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি’র অনুমোদন মেলে।

সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি ১৬ তারিখ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর-ডিজিডিএ উৎপাদনের অনুমোদন দেয়। এখন বিআরআইসিএম ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট তৈরি শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা জানান, এই কিট ৪ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দুই বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। যা বাজারে পাওয়া অন্য কিটগুলোর তুলনায় এগিয়ে।

 

গবেষক দলের সদস্য মাহমুদুল হাসান বলেন, অ্যান্টিজেন এই কিটে সিরাম, প্লাজমা ও রক্তের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। পাশাপাশি ডেঙ্গুর ধরন ‘ডেন-৪’ এই কিটে শনাক্ত করা যাবে।

 

মালা খান জানান, বর্তমানে দেশে যেসব কিট ব্যবহার করা হচ্ছে তা শতভাগ আমদানি করা। যার জন্য ১৪০ থেকে ১৯৫ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। দেশে তৈরি এই কিটে খরচ হবে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর ১০ মিনিটেই ফলাফল পাওয়ার কারণে বেশি বেশি পরীক্ষা করা যাবে। প্রতিদিন এক লাখ কিট উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিদেশ নির্ভরতা কমাবে। পাশাপাশি সংরক্ষণ করা সহজ হওয়ার কারণে দেশের বাইরে রপ্তানিও করা যাবে। তবে দেশের বাইরে রপ্তানি করতে গেলে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়।

বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, করোনা হলেও পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাবে ‘ক্রোস রিএক্টিভিটি’ বলা হয়। দেশে তৈরী এই কিটে যা হবে না বলেই দাবি গবেষকদের। তারা বলছেন, করোনা, জিকা ও চিকনগুনীয় ভাইরাসের প্রভাব থাকলেও ডেঙ্গুর ফলাফল শতভাগ দেবে। অর্থাৎ এখানে ‘ক্রস রিঅ্যাক্টিভিটি’ নেই। পাশাপশি এই অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ফলস নেগেটিভ বা ফলস পজেটিভ আসারও সুযোগ নেই বলে দাবি গবেষকদের।

ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কিট আমদানি করা হয়। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এর দামের উঠানামা করে। আবার অনেক সময় পাওয়া যায় না, গেল বছর এমন সমস্যার কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষা বন্ধ ছিলো। নিজেরা এমন কিট তৈরি করতে পারলে সেই সমস্যার দূর হবে।

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
শাহরাস্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মেমোরিয়াল হাসপাতালকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড
মাইগ্রেন ও টেনশন মাথা ব্যাথা- উপসর্গ ও করণীয়
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত
ক্যানসারের টিকা তৈরির দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া : পুতিন
দিনে ঘুমাচ্ছেন? জেনে নিন উপকার নাকি ক্ষতি
শিশু আয়ানের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট লোক দেখানো : হাইকোর্ট

স্বাস্থ্য চিকিৎসা এর আরও খবর

সম্পাদক: অধ্যাপক মোঃ শাহাদাত হোসেন, প্রধান সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, প্রকাশক: আবু সাঈদ ইকবাল মাসুদ সোহেল, মিডিয়া ভিশন লন্ডন থেকে প্রকাশিত।   ঢাকা কার্যালয় (অস্থায়ী): শহীদ ভিলা, বাসা- ২৫, কাঠালবাগান, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২০৫