ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চর ইসলামপুর এলাকায় একটি মাহফিলে বিতর্কিত বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় মাহফিল ছেড়ে পালিয়ে যান তাহেরী। পুলিশ জানায়, এসময় তাহেরীর ভক্তরা ৩টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এর আগে, গত শুক্রবার বিকেলে আখাউড়ায় তাহেরীর ভক্তদের হামলায় পুলিশ সদস্য আহত হলে তাহেরীসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। এরপর শনিবার রাতে উপজেলার চর ইসলামপুর এলাকায় তাহেরীর মাহফিল চলাকালে তাকে ধরতে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, এসময় তাহেরীর ভক্তরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পুলিশের একটি এবং সেখানে থাকা আরও একটি মাইক্রোবাস ও সিএনজি ভাঙচুর করে করে তাহেরীর ভক্তরা। এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।
বিজয় নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, পুলিশের কোনো রকম অনুমতি না নিয়েই তাহেরীর সমর্থকরা মাহফিলের আয়োজন করে। মাহফিলে সরকারবিরোধী বিভিন্ন উসকানি দিতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে আখাউড়া থানায় দায়ের করা এক মামলায় তাহেরীকে গ্রেপ্তার করতে যায়। এসময় তাহেরীর সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে, গত শুক্রবার বিকেলে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে তাহেরীর ওয়াজ মাহফিল চলাকালে বিনা অনুমতিতে ও বিনা নোটিসে তা আয়োজন করার অভিযোগে পুলিশের মোগড়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত বিট অফিসার এসআই আবির আহমেদ ও এসআই মো. বাবুল মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেলা পৌনে ৪টার দিকে সেখানে যায়। সেসময় পুলিশের ওপর হামলা হলে এসআই বাবুল আহত হন।
এ ঘটনায় তাহেরীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পুলিশ উপজেলার নিলাখাদ গ্রামের সোনা মওয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৬০), মোগড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী (৫০) ও একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমনকে (২১) গ্রেপ্তার করে।