ক্রীড়া ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইট ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেশি গতিতে অবলীলায় বোলিং করতে পারতেন। টেইটের মতোই তেমনি নাহিদ রানাকে পেয়েছে বাংলাদেশ। যিনি কিনা ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারেন।
গতির দিক থেকে উত্তরসূরিকে নিয়ে তাই উচ্ছ্বসিত টেইট। ২২ বছর বয়সী পেসারের যত্ন নিতে পারলে বাংলাদেশের জন্য দারুণ কিছু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিপিএলে চট্টগ্রাম কিংসের হয়ে কোচিং করতে আসা টেইট দলের অনুশীলন শেষে এমনটিই জানিয়েছেন। ২০১৩ সালে এই দলের হয়ে খেলোয়াড় হিসেবে বিপিএলও মাতিয়েছেন তিনি।
নাহিদকে নিয়ে তিনি বলেছেন, আমারও তাই মনে হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সময় আমি তাকে টেলিভিশনে প্রথমবার ভালোভাবে বোলিং করতে দেখেছিলাম। সত্যি বলতে এর আগে আমি তার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানতাম না। তারপর থেকেই টিভিতে দেখছি, অনেকটা লম্বা এবং শক্তিশালী একজন।
নাহিদের মতো একজন পেসার পাওয়ায় বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপ শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে করেন টেইট। তিনি বলেছেন, আমার মনে হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এটা খুবই রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার। বিশেষ করে পেসারদের ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশে কখনোই পেস বোলিংয়ে এমন ডেপথ ছিল না। প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারা এমন একজনকে পাওয়াটা সহজ ব্যাপার না। আমার মনে হয় খুব ভালোভাবে তার যত্ন নিতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সে দারুণ কিছু হবে।’
টেইটের মতো কিংবদন্তি পেসারের এমন প্রশংসা নাহিদের বড় পাওনাই। বিপিএলে তাকে সরাসরি কোচ হিসেবে পেলে দারুণ কিছু শিখতে পারতেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে মাঠ মাতানোর অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশি পেসার। সেই সুযোগ না থাকলেও চট্টগ্রামের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার সময় নিশ্চিতভাবেই পরামর্শ নেবেন নাহিদ।
তার আগেই অবশ্য ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতে কিভাবে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন সেই পরামর্শ দিয়েছেন টেইট। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার বলেছেন, নাহিদের আশপাশে যারা কাজ করে এটা পুরোপুরি তাদের ওপর। তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার মনে হয় তাকেও নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ক্রিকেটে কখনো কখনো যদি অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে ক্রিকেটার নিজের সম্পর্কে ধারণা পাবে, নিজের শরীর সম্পর্কেও জানবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঠিক ব্যক্তিদের সঠিক গাইডেন্সে সে অবশ্যই ভালো করবে।