Header Border

ঢাকা, শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

শাহরাস্তিতে প্রাইমারি স্কুলের পিয়নের হাতে লাঞ্চিত হলেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক!

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়নের হাতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত হয়েছেন।  এ ঘটনায়  মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার পৌর শহরের বাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন ইমাম হোসেন লাঞ্চিত ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন বাদিয়া মাহবুবুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সামছুল হুদা পাটওয়ারীকে।

ভূক্তভোগীর অভিযোগ সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে বাদিয়া মাহবুবুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার স্বাক্ষী হিসাবে গত ৪ মাস পূর্বে আদালতে স্বাক্ষ্য দেন, বাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন ইমাম হোসেন। এই স্বাক্ষ্য দেওয়ার কারণে তিনি মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা পৌনে একটার দিকে প্রধান শিক্ষকের কাছে ১২ হাজার টাকা চান।

এ সময় ১২ হাজার টাকা না পেয়ে তিনি তখন প্রধান শিক্ষকের কাছে সাড়ে চার হাজার টাকা চান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মো. সামছুল হুদা পাটওয়ারী টাকা না দিলে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন ইমাম হোসেন।

এ সময় তিনি প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তাকে মারধর ও টানা-হেচঁড়া করতে থাকেন। এসময় তার ডাক-চিৎকারে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে আসে।

পরবর্তীতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ইমাম হোসেন প্রধান শিক্ষক মো. সামছুল হুদা পাটওয়ারীকে মারধর করতে করতে ও টেনে-হেঁচড়ে বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যান এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন।
এছাড়াও তার এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা বাধা দিতে আসলে ইমাম হোসেন তাদেরকেও প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

যার ফলে প্রধান শিক্ষক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।

প্রধান শিক্ষক মো. সামছুল হুদা পাটওয়ারী  (মঙ্গলবার) শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। যার অনুলিপি তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা অফিসার, মেয়র, শাহরাস্তি পৌরসভা, অফিসার ইনচার্জ (ওসি), শাহরাস্তি থানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শাহরাস্তিকে দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন ইমাম হোসেন জানান, তিনিসহ বিদ্যালয়ের আরো দুইজন শিক্ষক ওই মামলায় স্বাক্ষী দিয়েছেন। এজন্য যে টাকা ব্যয় হয়েছে, তা তিনি প্রধান শিক্ষকের অনুমতিক্রমেই খরচ করেছেন। কিন্তু গত চারমাস যাবৎ তিনি তার খরচের টাকা দিচ্ছেন না।

তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার আমি স্যারের (প্রধান শিক্ষক) কাছে টাকার জন্য যাই। কিন্তু তিনি আমাকে টাকা না দিয়ে আমার সাথে রূঢ় আচরণ করেন। এসময় তার সাথে কথা কাটাকাটি (তর্ক-বির্তক) হয়। কিন্তু মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আমার নামে মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোহাম্মদ হুমায়ন রশিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তাপপ্রবাহ শেষে বৃষ্টির আভাস
ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়িঘর ভাঙচুর
নাবিকদের রাখা হয় অস্ত্রের মুখে, ডলারের বস্তা পেয়ে গভীর রাতে গা ঢাকা দেয় দস্যুরা
নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় এর আরও খবর

সম্পাদক: অধ্যাপক মোঃ শাহাদাত হোসেন, প্রধান সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, প্রকাশক: আবু সাঈদ ইকবাল মাসুদ সোহেল, মিডিয়া ভিশন লন্ডন থেকে প্রকাশিত।   ঢাকা কার্যালয় (অস্থায়ী): শহীদ ভিলা, বাসা- ২৫, কাঠালবাগান, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২০৫