নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী ঢাকায় লাখ লাখ কর্মজীবীর বসবাস। বছরের দুটি উৎসবে এসব মানুষের বড় একটি অংশ শহর ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে। তখন মানুষের ভিড়ে ঠাসা এই নগরী বিশ্রামে যায়। আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। ফলে রাজধানীর সেই বিশ্রামের সময় এসেছে।
এবারের ঈদুল আযহা উদযাপন করতে, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়িমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে বাস ও রেলস্টেশন এবং লঞ্চঘাটে। ফলে ফাঁকা হয়ে পড়ছে কংক্রিটে মোড়ানো ঢাকা। দ্রুত বদলে যাচ্ছে শহরের চিরচেনা ব্যস্ত রূপ।
সোমবার সকাল থেকে সব পথেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে চাপ বাড়লেও ঈদে ট্রেনযাত্রা এখন পর্যন্ত স্বস্তিরই রয়েছে। শেষ কর্মদিবস হওয়ায় সন্ধ্যার পর যাত্রীচাপ বাড়ার শঙ্কায় আছেন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ভোর রাতে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ দেখা যায়। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোল চত্বর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে, ঈদযাত্রায় মানুষ ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটে ২৭টি ফেরি ও ৩১টি লঞ্চ চলাচল করছে। চাপ বাড়লেও ঘাটে নেই যানজট কিংবা ভোগান্তি।
এদিকে বেলা ১২টার দিকে গাজীপুরের চন্দ্রা মোড়ে ফ্লাইওভারের নিচেতো বটেই ওপরেও গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বেলা যত বাড়ছে চন্দ্রা হয়ে উত্তরবঙ্গের পথে যানজটের শঙ্কাও বাড়ছে।
এদিন ভোররাত থেকেই উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী সড়কে যানবাহনের চাপ দেখা যায়। পশুবাহী গাড়ির কারণে তৈরি হওয়া এ চাপ ধীরে ধীরে কমেও আসে।
তবে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ সড়কে যানবাহনের চাপ তুলনামূলক কম। যে কারণে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা রওনা দিচ্ছেন।
দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে এখন পর্যন্ত স্বস্তিরই আছে রেলযাত্রা। সোমবার দুপুর পর্যন্ত রংপুর ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা করে বিলম্বে ছেড়ে গেলেও বাকি ট্রেন ছেড়েছে সময়মতোই।
সোমবার ঢাকা থেকে মোট ১০৪টি ট্রেন যাবে দেশের নানা প্রান্তে। বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ২১টি ট্রেন সময়মতোই ছেড়ে গেছে। দিনে অন্তত অর্ধ লাখ মানুষ ট্রেনে করে ঢাকা ছাড়ছেন। বিনা টিকিটের কোনো যাত্রীকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না কমলাপুরে।