Header Border

ঢাকা, রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)
শিরোনাম :
আল্লাহর আইন কায়েম হলে সকলে সমান আলো পায়—অধ্যাপক অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন এবার মোদির পদত্যাগের ‘একদফা’ দাবি প্রতীকসহ নিবন্ধন পেল নুরের গণঅধিকার পরিষদ বন্যার্তদের মাঝে ফুডপ্যাক বিতরণ ইঞ্জিঃ ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহার প্রতিহিংসা পরিহার করে সুন্দর সমৃদ্ধ দেশ  গড়তে সবাই এগিয়ে আসুন: ইঞ্জিঃ মমিনুল হক শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ: রয়টার্সকে উপদেষ্টা শাহরাস্তিতে বানবাসীদের মাঝে পিসবের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাঁদপুরে সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী বর্ন্যাতদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ নেপালকে উড়িয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

বাড়ছে যমুনার পানি, ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
দুই দিন পানি কমার পর আবারও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে বাড়তে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৯ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার অভ্যন্তরীণ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

গেল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে জেলার এনায়েতপুরে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত দুই দিনে এই এলাকায় ১০টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, গাছপালা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীপাড়ের মানুষের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রতিদিনই নদীতে বিলীন হচ্ছে জেলার শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের মুখে থাকা ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এলাকাবাসী। তাদের অনেকের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে। এনায়েতপুর থেকে শাহজাদপুর উপজেলার পাঁচিল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার নদীর ডানতীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ চলমান থাকায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুর্গতরা।

এদিকে, ভাঙনের কবলে পড়ে গত এক সপ্তাহে কাজীপুরে মেঘাই ঘাট এলাকায় স্পার বাঁধের ৩০ মিটার বাঁধসহ এনায়েতপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুরে বসতবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প চালু থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ ভাঙনকবলিত মানুষদের।

প্রায় দেড় বছর আগে ৬৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়ে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর এনায়েতপুরের পাঁচিল থেকে ব্রাহ্মণগ্রাম পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজে ধীরগতি। এতে গত দেড় বছরের ভাঙনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। বিশেষ করে গত ১৫ দিনে ভাঙনের কবলে পড়ে জামালপুর, ব্রাহ্মগ্রাম আড়কান্দিসহ দক্ষিণাঞ্চলে শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া চৌহালী ও বেলকুচিতে যমুনার উভয় তীরেই চলছে ভাঙন।

এনায়েতপুরের ব্রাহ্মগ্রামের জমসের আলী জানান, এখানে আমার বাড়ি ছিল। ২৫ বছর সেই বাড়িতে বসবাস করেছি। সাড়ে ১৬ ডিসিমালের বাড়ি, দুই বিঘা জমি, চারটি ঘরসহ সংসারের সব এখন নদীর পেটে। কোথায় যাব, কি করবো, কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে গ্রামের একটি মাদরাসার জমিতে বসবাস করছি। প্রতিদিনই ভাঙন হচ্ছে। এলাকার মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। মানুষ যাওয়ার জায়গা পাচ্ছে না।

জালালপুর গ্রামের রহিম শেখ বলেন, যমুনার ভাঙনে পাঁচবার ঘর-বাড়ি হারিয়েছি। বাড়ি পরিবর্তন করে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। এবারও ঘরের কোনায় নদী চলে এসেছে। যেকোনো সময় বসতবাড়ি নদীতে চলে যাবে। বসতঘর ভেঙে পানির দামে বিক্রি করেছি। নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুষ্ক মৌসুমে করতে পারলে নদী ভাঙত না। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন সঠিক সময়ে কাজ না করায় ভাঙনের মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে। ভাঙনকবলিত এনায়েতপুর, জালালপুর, হাটপাঁচিল ও চৌহালীতে লাম্পিং কাজ চলছে। বর্ষাকালে পানির জন্য প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন কঠিন। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

 

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
বন্যার্তদের মাঝে ফুডপ্যাক বিতরণ ইঞ্জিঃ ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহার
শাহরাস্তিতে বানবাসীদের মাঝে পিসবের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী বর্ন্যাতদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ
শাহরাস্তিতে আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
যশোরের নতুন এসপি মাসুদ আলম
যমুনা নদীর ভাঙ্গন: নিলামে বিক্রি হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়, হুমকিতে শতাধিক পরিবার

সারাদেশ এর আরও খবর

সম্পাদক: অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক: ইঞ্জিঃ ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহা,  প্রকাশক: আবু সাঈদ ইকবাল মাসুদ সোহেল কতৃক সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল লন্ডন থেকে প্রকাশিত। বাংলাদেশ অফিস: (অস্থায়ী) শহীদ ভিলা, বাসা- ২৫, কাঠালবাগান, গ্রীণরোড, ঢাকা-১২০৫