নিজস্ব প্রতিবেদক
গেল দুই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর গত আগস্টে তা আবার বেড়েছে। আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আর সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গ্রাম ও শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছাড়িয়েছে ১২ শতাংশ।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিবিএসের তথ্যে জানা গেছে, আগস্টে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা গত বছরের আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এদিকে কয়েক মাস ধরেই দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ওঠানামার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে চলতি বছরের জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, জুনে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও মে মাসে বেড়ে হয়েছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গত মে মাসে এ হার প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে সার্বিক খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগস্টে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এর মধ্যে গ্রাম এলাকায় আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
আর শহর এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ১১ শতাংশে। উভয় ক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে ১০ শতাংশের নিচে ছিল।
আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ হওয়ার মানে হলো, ২০২২ সালে আগস্টে একজন মানুষ যে পণ্য ও সেবা ১০০ টাকায় কিনতেন, চলতি বছরের আগস্টে একই পণ্য কিনতে তার খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৯২ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৯২ পয়সা। মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়।