নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের কওমি মাদ্রাসায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের অধিকাংশই এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের। এটিকে সম্ভাবনার বলে মনে করছেন মাদ্রাসা শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর অদূরে সাভারের শাহীবাগের মারকাযুল উলূম আশ-শরিইয়্যা মাদরাসায় হেফয ও দাওরা হাদিস বিভাগে পড়াশোনা করছেন মালয়েশিয়া থেকে আসা চার শিক্ষার্থী। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন তারা। অল্পস্বল্প বাংলাও রপ্ত করে নিয়েছেন। তাদেরই একজন নূর মোহাম্মদ হাকিমী। তিনি বলেন, আমি পাঁচ মাস ধরে এখানে আছি। এখানকার লেখাপড়ার মান আনেক ভালো।
মালয়েশিয়ার আরও এক শিক্ষার্থী ওমাহাম্মদ নূর হিশাম বলেন, আমরা এখানে ভালো আছি। বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কওমি শিক্ষার্থীদের পছন্দ ভারতের আলি গড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি, সৌদি আরবের মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশের মাদরাসা থেকে কোরআনের হাফেজ ও আলেম হবার স্বপ্ন নিয়ে এসিছি। আলহামদুলিল্লাহ। পাঁচ মাসের মধ্য আলেম হয়ে যাবো।
আর এক মালয়েশিয়ান মো. নূর নবী বলেন, এখানকার বন্ধুরা অনেক ভালো ব্যবহার করেন। এখানকার খাওয়া দাওয়া অনেক ভালো। একটু ঝাল। আমার কাছে কাচ্চি বিরিয়ানিটা অনেক ভালো লাগে।
মৌলিক দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জনসম্পদে রূপান্তরে এই মাদরাসার শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মেকানিক্যাল, ড্রাইভিং, কম্পিউটার, ব্যবসায়ী শিক্ষা ইত্যাদি কারিগরি বিষয়।
এমন প্রেক্ষাপটে মাদরাসা শিক্ষায় বিদেশি শিক্ষাবান্ধব নিতিমালা প্রণয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ও এই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা জিয়া ইবনে কাসেম বলেন, মালয়েশিয়া থেকে চার জন ছাত্র এসেছেন। অন্য দেশগুলো থেকেও ছাত্ররা আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে আফ্রিকার কয়েকটা দেশ, ইন্দোনেশিয়া, এমনকি চীন থেকেও। কারণ, এখানে লেখাপড়ার মান ভালো। আমরা বাংলাদেশক বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সরকার ইতোমধ্যে কওমি মাদরাসার শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তরকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমানের মর্যাদা দিয়েছে। প্রতিবছরই দেশের মাদরাসাগুলো থেকে লাখ লাখ শিক্ষার্থী সফলভাবে তাদের শিক্ষা সম্পন্ন করছেন।