Header Border

ঢাকা, বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

শীত হতে পারে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায়

পৃথিবীর আহ্নিকগতির কারণে দিন-রাত এবং বার্ষিকগতির প্রভাবে ঘটে ঋতুচক্রের পরিবর্তন। মহান আল্লাহর বাণী :‘তিনিই রাতকে দিনে এবং দিনকে রাতে পরিবর্তন করেন, তিনি সূর্য ও চাঁদকে নিয়ন্ত্রণ করছেন; প্রত্যেকেই এক নির্দিষ্টকাল আবর্তন করে…’ (সুরা ফাতির, আয়াত :১৩)। প্রসঙ্গত, প্রিয়নবি (স.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করল, ‘হে রব, আমার কিছু অংশ কিছু অংশকে খেয়ে ফেলছে।’ তাকে অনুমতি দেওয়া হলো দুটি নিঃশ্বাসের একটি নিঃশ্বাস শীতে আরেকটি নিঃশ্বাস গ্রীষ্মে…’ (বুখারি)।

 

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য হলো, পৃথিবী ও সূর্যের কেন্দ্র সমান দূরত্বে ঘুরতে থাকে। তবে পৃথিবীর যে তলদেশটি বেশি চওড়া, সেটি সূর্যের কাছাকাছি চলে যায়। আর যে তলদেশটি কমলালেবুর মতো চাপা, সেটির দূরত্ব সূর্য থেকে অনেক দূরে চলে যায়। ফলে পৃথিবীর যে গোলার্ধ সূর্যের খুব কাছাকাছি থাকে, সেখানে তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয়। অন্যদিকে যে এলাকা সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে, সেখানে আসে শীতকাল।

শৈত্যপ্রবাহ মহান আল্লাহর পরীক্ষা। পবিত্র কুরআনের সতর্কবাণী :‘আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো বিপদই আপতিত হয় না…’ (সুরা তাগাবুন, আয়াত :১১)। প্রচুর শাক-সবজি আবাদ হয় শীতকালে, এটাও হতে পারে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের উপায়। তিনি বলেন, ‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ করুক… অতঃপর মাটিকে বিদীর্ণ করেছি। আর তাতে উত্পন্ন করেছি শস্যাদি, আঙুর, শাক-সবজি, জলপাই, খেজুর, বহু বৃক্ষবিশিষ্ট বাগান, ফলফলাদি…’ (সুরা আবাসা, আয়াত :২৪-৩২)।

 

শীতকালের রাত দীর্ঘ, থাকে না তাহাজ্জুদ-ঘুমের দ্বন্দ্ব। সহজতর হয় তাহাজ্জুদ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের রবকে ডাকে ভয়ে ও আশায়…’। শীতকালের দিবাভাগ খুব স্বল্পস্থায়ী। ফলে নফল ও কাজা রোজা আদায়ে শীতকাল সহজসাধ্য, আদর্শ। হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তকাল বলা হয়েছে।

শীতে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের আদর্শ :‘তারা আল্লাহর প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দরিদ্র, ইয়াতিম ও বন্দিদের খাদ্য দান করে’ (সুরা দাহার, আয়াত :০৮)। মানবতার কল্যাণে প্রিয় নবি (স.)-এর বাণী :‘কোনো মুসলমান কোনো বস্ত্রহীন মুসলমানকে বস্ত্র দান করলে আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে সবুজ বর্ণের পোশাক পরাবেন…খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন…’ (আবু দাউদ)। অতএব, শীতার্তের জন্য আমাদের করণীয় হলো :অব্যবহৃত কাপড়, লেপ-কম্বল বিলিয়ে দেওয়া, শীত সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা, খাবার ও পোশাক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, বিনোদন, পর্যটনের সময়ের বাড়তি খাবার স্থানীয়দের দান করা, পর্যাপ্ত ওষুধ ও গা-গরম রাখতে সহায়ক খাবার নিশ্চিত করা, মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কর্তব্য শীতার্তদের পাশে থেকে সাহায্য করা।

বস্তুত শীত-গ্রীষ্মেও রয়েছে মহান আল্লাহর আনুগত্যের আহ্বান, ‘যেহেতু আসক্তি আছে কুরাইশদের/ গ্রীষ্ম ও শীতকালে দূরে সফরের,/ তারা করুক তবে তাঁর ইবাদত/ কা’বার প্রভুর দেওয়া নির্ধারিত পথ…’ (কাব্যানুবাদ সুরা কুরাইশ, আয়াত :০১-০৩)।

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
বান্দার যে কর্মের ফলে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন আল্লাহ
জানা গেল ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ
ঈদুল ফিতরে করণীয়
ফিতরা কী, কেন, কাকে দেবেন, কোন সময় এবং কীভাবে দেবেন?
বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত
হাজীগঞ্জ বড় মসজিদে জুমাতুল বিদার নামাজে লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণ

ইসলাম এর আরও খবর

সম্পাদক: অধ্যাপক মোঃ শাহাদাত হোসেন, প্রধান সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, প্রকাশক: আবু সাঈদ ইকবাল মাসুদ সোহেল, মিডিয়া ভিশন লন্ডন থেকে প্রকাশিত।   ঢাকা কার্যালয় (অস্থায়ী): শহীদ ভিলা, বাসা- ২৫, কাঠালবাগান, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২০৫