বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলা পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম ভাষা। বিশ্বব্যাপী ভাষা অধিকার আন্দোলনে বাংলা ভাষা সংগ্রামীরাই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ভাষাশহীদদের ত্যাগ ও বিসর্জন বিশ্বের কাছে অমূল্য। তাদের আত্মত্যাগের প্রেরণায় বাংলাদেশ আজ স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’
গত বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ভাষাশহীদেরা বাংলা ভাষাকে কেবল অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠাই করেননি। বরং আমাদের জাতীয়তাবোধ এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। তারা বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি দৃঢ় করেছেন এবং মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও সম্মানের বীজ বপন করেছেন। তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সর্বস্তরে মাতৃভাষার প্রসার ঘটাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাষাশহীদদের স্মৃতি ধারণ করে আমাদের সকলকে পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করতে হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহেরসহ মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী এর আগে সকালে খিলগাঁও গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।