বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীভাঙ্গন রোধে জিও বস্তা ফেললেও ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছে না। ফলে আশা ছেড়ে দিয়ে বিদ্যালয়টি নিলামে বিক্রি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে বগুড়া সারিয়াকান্দিতে গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়া শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সোমবার (১০ জুন) বিকালে উপজেলা প্রশাসন এক লক্ষ দুই হাজার টাকায় নিলাম দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম কবির।
গত বছর বিদ্যালয়ের পাশে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করলে সেখানে দ্রুত ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলা হয়। ফলে যমুনা নদীর ভাঙন কিছুটা রোধ হয়। এবছর নদী ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করে। তবে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করায় এ বছর বিদ্যালয়টি যমুনায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও শিমুলতাইড় গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে শিমুল তাইড় আশ্রয়ন প্রকল্প।
ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, গত বছরও ভাঙন শুরু হয়েছিল। জিও ব্যাগ দেওয়ায় ভাঙন ঠেকানো গেছে। এবার হঠাৎই ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে গ্রামের শতাধিক পরিবার ভিটে ছাড়া হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, ‘যেহেতু বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি খুবই খারাপ তাই এটি নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন দিয়েছিলাম।’
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান জানান, ‘যেহেতু বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি তেমন ভালো মনে হচ্ছে না, তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিদ্যালয় ভবন নিলামে দেওয়া হয়েছে।’
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দ অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। এখানে বড় আকারের বাজেট প্রয়োজন। তাই বিদ্যালয়সহ এলাকাবাসীকে বাঁচাতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’