হামাস জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) হামাসের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা সামি আবু যুহরি এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া গাজায় তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪ টি এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। কেবল রাশিয়া ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের তিন পর্যায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটিতে ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রত্যাহার ও যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটির পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের পর এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, এটি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সহযোগীতা করতে প্রস্তুত। যুদ্ধবিরতির চুক্তির মূলনীতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য পরোক্ষ আলোচনায়ও বসতে প্রস্তুত গোষ্ঠীটি।
সামি আবু যুহরি বলেছেন, ‘ইসরায়েল যাতে এ প্রস্তাবটি মেনে চলে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ওয়াশিংটনের।’
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে ইসরায়েল এ প্রস্তাবটি মেনে নিয়েছে। যদিও হামাসকে নির্মূল করার আগ পর্যন্ত কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্দো বলেছেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে পাস করেছে। আর এটি মানা আন্তর্জাতিক আইনে বাধ্যতামূলক। এখন বড় প্রশ্ন হল এর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন হবে কিনা। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে যে ইসরায়েল এ প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। ফলে তা মেনে চলতে ইসরায়েলের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি হয়েছে।’
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর আগে জোর দিয়ে বলেছিলেন, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত এবং জিম্মিদের মুক্তি না করানো পর্যন্ত গাজায় কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না।
সূত্র : আলজাজিরা