টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন এই অলরাউন্ডার। একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত পরিসরের ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। ওটাই তার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার নিজের অবসরের ঘোষণা দিলেন।
একই সঙ্গে ওয়ানডে থেকে অবসরের পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর অনুষ্ঠিত হবে। ওই আসর দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বলতে চান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান বলেন, বিসিবির সঙ্গে কথা হয়েছে। ফারুক ভাই ও বোর্ডের নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে গিয়ে খেলতে পারি তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। তারা (বোর্ড) চেষ্টা করছে এটাকে কীভাবে সুন্দরভাবে এরেঞ্জ করা যায়। যাতে করে আমি নিরাপদ মনে করি, দেশে গিয়ে খেলতেও পারি এবং যখন দরকার হবে দেশের বাইরে বের হতে যেন আমার সমস্যা না হয়, এই বিষয়টিও বোর্ড খেয়াল করছে।
তিনি আরও বলেন, টি-টোয়েন্টি নিয়েও আমার নির্বাচকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত সিরিজগুলো নতুনরা খেলতে থাকুক। সুযোগ পেলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো আমি খেলতে থাকি। ছয় মাস, এক বছর পরে যদি বিসিবি মনে করে এখানে আমার অবদান রাখার সুযোগ আছে, পারফর্ম করছি, ফিট আছি তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এই মুহূর্তে আমি টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে দেখছি না। মনে হয়, শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছি।
জাতীয় দলের হয়ে ৭০ টেস্টে ৪ হাজার ৬০০ রান করেছেন এবং দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েস্টি খেলেছেন ১২৯টি। তার ব্যাট থেকে এই ফরম্যাটে ২ হাজার ৫৫১ রান এসেছে এবং ১৪৯ উইকেট নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য পদ হারিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে হত্যা মামলা। সবশেষ শেয়ার বাজার কারসাজির অভিযোগ এনে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে সাকিবকে। এরই মধ্যে তিনি টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন।
জাতীয় দলের হয়ে ৭০ টেস্টে ৪ হাজার ৬০০ রান করেছেন এবং দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েস্টি খেলেছেন ১২৯টি। তার ব্যাট থেকে এই ফরম্যাটে ২ হাজার ৫৫১ রান এসেছে এবং ১৪৯ উইকেট নিয়েছেন।