নিজস্ব প্রতিবেদক
বেলজিয়াম তাদের নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পকে জোরদার করার জন্য বিশালাকৃতির এক কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে। কাজ চলছে পুরোদমে। প্রকল্পের প্রাক্কলন অনুসারে ২০২৭ সাল নাগাদ এই কৃত্রিম দ্বীপ প্রস্তুত হবে। দ্বীপটি প্রতিষ্ঠার পর ৩ দশমিক ৫ গিগাওয়াট বায়ুচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এভাবে পরিবেশদূষণ অনেকাংশেই মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হবে। অন্তত ৩০ লাখ বাড়ি জলবায়ু দূষণ না করেই পাবে বিদ্যুৎ।
এই অভিনব প্রকল্পের অর্থায়ন করছে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক। এখন পর্যন্ত তারা ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের গ্রিন এনার্জি খাতের জন্য ‘রি পাওয়ার ইইউ’ নামে একটি প্রকল্প নেয়। বেলজিয়ান উপকূলে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার বিস্তৃত এই কৃত্রিম উপদ্বীপ প্রিন্সেস এলিজাবেথ উইন্ড জোনের কাছাকাছি অবস্থিত। দ্বীপটি এমনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে, যেন এটি ইউরোপের এনার্জি বাণিজ্যের হাব হয়ে ওঠে। তারা ‘হাইব্রিড ইন্টারকানেক্টরের’ মাধ্যমে গোটা মহাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি সরবরাহ করার বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। দ্বীপটি নির্মাণে মাটি নয়, বরং নেদারল্যান্ডস থেকে বড় কংক্রিট এনে গড়া হচ্ছে। সমুদ্রের ওপর কংক্রিটের ভাসমান অবয়বটিই আমাদের কৃত্রিম দ্বীপ। যেন সাই ফাই মুভির কোনো বড় শহর। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে বেলজিয়াম বহুদিন ধরেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে তারা এমন একটি দ্বীপ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি অবশ্য এখনও অনেকের নজরে আসেনি। তবে ২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার রোধের ক্ষেত্রে অনেকটাই অগ্রগতি হবে এই দ্বীপটি চালু হওয়ার পর। তবে দ্বীপটিকে পর্যটনের মতো করে গড়ে তোলা হবে কি না তা এখনও জানা যায়নি। সে সুযোগ হলে অবশ্য দারুণই হবে।
সূত্র : টেকস্পট।