মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে অপরাধ ও শাস্তি জেনেও চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে বাল্যবিবাহের হিড়িক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেনেও না জানার ভান করছেন বলে অনেকে বলছেন।বাল্যবিবাহ অর্থ হচ্ছে এমন বিবাহ যার কোন এক পক্ষ বা উভয় পক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক। অর্থাৎ ২১ বৎসর পূর্ণ করেননি এমন কোনো পুরুষ এবং (কিংবা) ১৮ বৎসর পূর্ণ করেননি এমন কোনো নারী যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন তা বাল্যবিবাহ হিসেবে গণ্য হয়। বাল্যবিবাহ নিরোধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে Child Marriage Restraint Act, 1929 বাতিল পূর্বক সময়োপযোগী করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ নামে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেন।
এই আইনের ৭ ধারায় বাল্যবিবাহ করার শাস্তির বিধান উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্ক কোন নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করলে তিনি অনধিক ২ বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আরও বলা আছে যে, যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করেন তবে তিনি অনধিক ১ মাসের আটকাদেশ বা অনধিক ৫০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ব্যক্তিকেও এই আইনের আওতায় আনা যাবে। এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শাহারাস্তি উপজেলার সুচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া সংহাই গ্রামের মোঃ আব্দুর রহিমের কন্যা( ১৪)কে একই গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র মোঃ ইয়াসিন এর সাথে বিবাহ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের দৃষ্টি গোছর হয়। বিষয়টি তদন্ত করেছেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুদা আক্তার। তিনি সত্যতা পাওয়ায় উভয়পক্ষকে গত ২০/ ১১/ ২০২৩ ইং তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলেন, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ও জানান। কিন্তু অদ্যাবধি বিষয়টি নীরব থাকায় স্থানীয়দের মাঝে নানা গুঞ্জন চলছে। তারা বলছেন যারা এই বিবাহে জড়িত যাদের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ হচ্ছে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া না হলে শাহরাস্তিতে এইভাবে বাল্যবিবাহ চলতে থাকবে। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী ।