চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানা পুলিশ মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্য আটক করেছে। একটি মোটর সাইকেল চুরির মামলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় চোরাইকৃত একটি সিএনজি টেক্সি উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইপিজেড থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক এবং টেক্সিটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা নাগাদ ইপিজেডের চৌধুরী মার্কেটের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় গাড়ির মালিক বাদি হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিউমুরিং এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ জামশেদ নামের দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে একই থানা এলাকার আয়শার মার গলি থেকে তিন নম্বর আসামি ফয়সাল উদ্দিনকে আটক এবং তার প্যান্টের পকেট থেকে সিএনজির ফিটনেস সনদ ও একটি ট্যাক্স টোকেন জব্দ করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল জানায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সমনে থেকে জাহাঙ্গীর, জামশেদ ও ফয়সাল মিলে একটি সিএনজি চুরি করে। ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স টোকেনটি ওই গাড়ির বলে জানায়। এসময় আসামিরা জানায়, ওই সিএনজিটি অপর আসামি জামশেদ উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়েছে। ওইদিনই রাত দেড়টার দিকে নিউমুরিং এলাকা থেকে জামশেদ উদ্দিনকেও আটক করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে ডবলমুরিং থানার বেপারিপাড়া এজেআর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে থেকে সিলেট পাঠানোর জন্য রাখা সিএনজি টেক্সিটি উদ্ধার করা হয়।
ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ চাংকু নাগ বলেন, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামিদের আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ অপর চোরাইকৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, আটকের পর জানতে পারি আসামিরা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। আটক ফয়সাল উদ্দিন ও জামশেদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।