চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের নরহ গ্রামের মৃত: আবদুস সোবাহানের পুত্র হাজী বদিউল আলম (৬৮) জামাতা খোরশেদ আলমের অর্থআত্বসাত, অপকর্ম, দ্বিতীয় বিয়ে সহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যাচারের প্রতিকার চেয়ে মেয়ের পক্ষে সাংবাদিক সন্মেলন করেছেন।সোমবার(৩ জুন) দুপুরে শাহরাস্তি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তার দ্বিতীয় কন্যা নারগিস আক্তারের পক্ষে পিতা হাজী বদিউল আলম জানান, ২০০২ সালে আমি কাতারে তথা প্রবাসে থাকাকালীন আমার দ্বিতীয় কন্যা
নারগিস আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের পাথৈর গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র প্রবাসী খোরশেদ আলমের সাথে। বিয়ের পর থেকেই লোভী জামাতা খোরশেদ আলম আমার বাড়ীতে (ঘর জামাই) থাকা অবস্থায় যৌতুক দাবি করে আসছে। এ সময় আমি তাকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ট্রাকট্রর, ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে গরুর খামারের ব্যবস্থা করে দেই। দেড় থেকে ২ বৎসরের মধ্যে ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে উক্ত সমুদয় টাকা আত্বসাত করেন জামাতা খোরশেদ আলম । সোদি আরব ও জাপানে লোক পাঠাবে বলে শুরু করে (ভিসার ব্যবসা) আদম বেপারী কাজ। ভুয়া ও প্রতারনা ব্যবসায় লোক প্রেরণে ব্যর্থ হওয়ায় থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ২ বার তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে, ২বারই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনি। পুলিশের আটকাদেশ ও মামলা হামলা থেকে বাচাঁতে ২০১৩ সালে খোরশেদ আলমকে কাতারে
নিয়ে যাই। সে অদক্ষ হওয়ায় তাকে বিপুল অর্থ খরচ করে গাড়ী চালানো শিখাই, কাতারের ৩৫ হাজার ডলার খরচ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ী কিনে দেই। এ সময় সে কাতারে মেয়েলি সংক্রান্ত অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। শশুর হিসেবে আমি লোকচক্ষুর অপদস্তর শিকার হই। এ সময় আমি তাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে ও সঠিক অবস্থানে আনতে ব্যর্থ হই। কাতারের নিয়ম অনুযায়ী আমার বয়স ৬০ বৎসর
পূর্ণ হওয়ায় ২০১৬ সালে আমার জামাতা খোরশেদ আলমকে আমার সমুদয় ব্যবসা বুঝিয়ে দিয়ে আমি বাংলাদেশে চলে আসি। প্রতি মাসে আমার ব্যবসায়িক নীট লাভ ২ লক্ষ টাকা আয় হলেও, ৪৪ হাজার টাকা তার হাত খরচের জন্য রেখে, সে আমাকে প্রতিমাসে মাসে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা পরিশোধ করবে বলে জানায়। ৪/ ৫ মাস নির্ধারিত হারে টাকা পাঠালেও হঠাৎ সে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়।আমার ব্যবসায়িক জমানো ৫ বৎসরের অর্থ সহ ধার দেনার পাওনা বাবদ জামাতা খোরশেদ আলমের কাছ থেকে ১ কোটি টাকা প্রাপ্য হই। পরবর্তীতে সে আমার দ্বিতীয় মেয়ে খোরশেদ আলমের স্ত্রী নারগিস আক্তার ও তার ২ মেয়ে নুসরাত জাহান সুইটি (২১) ও আইরিন সুলতানা সেঁজুতি (১৬) এর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ২০২০ সালে আমার বড় নাতনি নুসরাত জাহান সুইটির চাঁদপুর সদরের মহামায়া
এলাকায় বিয়ে হয়। সে তার বিয়ের খোঁজখবর বা কোন টাকাপয়সা প্রদান করেনি।২০২১ সালে জামাতা খোরশেদ আলম দেশে এসে আমার মেয়ে তার স্ত্রী নারগিস আক্তার উপর মারধর ও
নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে নারগিস বাদী হয়ে খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি থানায় লিখিত অভিযোগ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও চেয়ারম্যান থানা পুলিশের সহায়তায় বিষয়টির সমাধান হয়। এ সময় আমি আমার পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে, সে বিভিন্ন অজুহাত খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে সে আমার মেয়ে তার স্ত্রী নারগিস আক্তারের বিরুদ্ধে পরকিয়া সম্পর্কের মিথ্যা অভিযোগের ধুয়োঁ তুলে, যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আবারো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে তার পরিবারে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়। নারগিস আক্তার ও তার ২ মেয়ে নুসরাত জাহান সুইটি ও আইরিন সুলতানা সেঁজুতি মানবেতর জীবন যাপন করে। প্রবাসী খোরশেদ আলম গত ৯ মে ২০২৪ ইং কাতার থেকে দেশে এস প্রথম স্ত্রী নারগিস আক্তারের অনুমতি না নিয়ে, রায়শ্রী দক্ষিন ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এলাকায় প্রচার করেন তার প্রথম স্ত্রী নারগিস তাকে তালাক দিয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।এদিকে খোরশেদ আলম দ্বিতীয় বিয়ের সংবাদ পেয়ে প্রথম স্ত্রী নারগিস আক্তার তার ২ মেয়ে সহ বিল্ডিংয়ের তালা ভেঙ্গে তার স্বামীর বসতঘর (বিল্ডিং) উঠে। কাতার প্রবাসী খোরশেদ এ সংবাদ পেয়ে তার নতুন স্ত্রী সহ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে দাবী করছেন হাজী বদিউল আলম। এ বিষয়ে বদিউল আলম বাদী হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় অভিযোগ ও চাঁদপুর কোর্টে একটি মামলাদায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমার মেয়ে নারগিস ২ নাতনি সহ মানবেতর জীবন যাপন সহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কোটি টাকা আত্নসাৎ ও নিজের অপকর্ম ঢাকতে খোরশেদ দ্বিতীয় বিয়ে সহ মিথ্যাচার করছে
Leave a comment
Leave a comment