প্রিয়পোস্ট ডেস্ক
দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী দেখা গেছে। যার প্রভাবে রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে রোগীর সংখ্যা কমলেও এই ‘প্যান্ডামিক’ কোথায় গিয়ে থামবে, তা এখনো স্পষ্ট করে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার (২০ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের ২৯ থেকে ৩০ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। এরপরই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কমতে শুরু করেছে। এরপর থেকে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। তাও এবার কমতে শুরু করেছে। তবে এই ‘প্যান্ডামিক’ যে কোথায় গিয়ে থামবে, সেটি স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
ডা. শাহাদাত বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২৬শ’র বেশি ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১৯৭৪ জনের মতো। তার মানে হলো এখনো বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ছয় শতাধিক ডেঙ্গু শয্যা ফাঁকা পড়ে আছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩১৫ জন রোগী ভর্তি। এরপরই মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান।
ডা. শাহাদাত বলেন, ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কমছে। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা দেখছি, নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গুতে পুরুষদের আক্রান্তের হার ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ হলেও নারীদের আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো আক্রান্তে পুরুষরা এগিয়ে থাকলেও ডেঙ্গুতে পুরুষের তুলনায় নারীদেরই মৃত্যু বেশি হচ্ছে।