সংযুক্ত আরব আমিরাতে উঠেছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের পর্দা। যেখানে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশের যুবারা। ম্যাচটিতে আশিকুর রহমানের দুর্দান্ত শতকে লংকানদের রীতিমতো উড়ে দিয়েছে টিম টাইগার্স। এতে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বুধবার দুবাইয়ে ছোটদের এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে টাইগারদের আঁটসাট বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে লংকান যুবারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট ও ৫৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগার যুবারা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশের যুবারা। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আশিকুর রহমান ও জিশান আলম। তবে ম্যাচের প্রথম ওভারেই উইকেট বিলিয়ে দেন জিশান। সংকেতের আঘাতে শূন্য রানেই সাজঘরের পথ ধরে এ টাইগার ওপেনার।
এরপর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার সঙ্গে আদর্শ জুটি গড়েন আশিক। এ দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রান। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন রিজওয়ান। লাহিরুর বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩২ রান করেন তিনি।
পরে বাইশ গজে আসেন আরিফুল ইসলাম। কিন্তু বেশকিছু সময় ব্যাট হাতে লড়াই করে তিনিও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর ব্যাট হাতে আশা দেখান আহরার আমিন। তবে তিনিও টাইগার ভক্তদের নিরাশ করেন।
অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যান আশিক। লংকান বোলারদের তুলোধুনো করে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। মূলত তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
ম্যাচটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ১৩০ বলে ১১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন আশিক। শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন গরুকা সংকেত।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় শ্রীলংকা। তবে দলীয় ৩৭ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভাঙে তাদের।
ইনিংসের নবম ওভারে ওপেনার পুলিন্দো পেরেরাকে সাজঘরের পথ দেখান মারুফ মৃধা। আউট হওয়ার আগে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর লংকানদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় দলীয় ৭৪ রানে। রাবিসান ডি সিলভার প্রতিরোধ ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক রাব্বি। দলীয় শতরানের আগে তিন উইকেট হারালেও লড়াইয়ে টিকে ছিল লংকান যুবারা।
তবে এরপরই বাংলাদেশি বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়েও শেষমেশ ব্যর্থ হয়েছে তারা। অবশেষে ১৯৯ রানেই গুটিয়ে যায় লংকান যুবারা।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন ওয়াসি সিদ্দিক।