মানিকগঞ্জের বিশাল এলাকাজুড়ে চাষ হয়েছে শীতকালীন সবজি। জেলায় বিভিন্ন এলাকার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক কৃষক এবার নানা জাতের সবজি আবাদ করছেন। মানিকগঞ্জ থেকে এ মৌসুমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার সবজি বিক্রির আশা কৃষি বিভাগের। নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন মানিকগঞ্জের কৃষকরা। তবে উন্নত প্রশিক্ষণ ও পর্যাপ্ত সহায়তা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি বিদেশেও রফতানি সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন নানা জাতের শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে লালশাক, পালংশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, বেগুন, লাউ, গাজর ও টমেটোর আবাদ হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে কম সময়ে ফলন আর অধিক লাভের কারণেই দিন দিন প্রসার পাচ্ছে সবজি চাষ। প্রতি বিঘায় সার, কিটনাশক ও চারার জন্য ব্যয় হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। গত বছর এ মৌসুমে আড়াই হাজার কোটি টাকার শীতকালীন সবজি বিক্রি হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর আরো এক হাজার কোটি টাকার বেশি সবজি বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের রাইল্লা এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ করেছিলাম। দুই বিঘায় বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করে লাভ হওয়ায় এবার আড়াই বিঘা জমিতে শিম, ধনিয়াপাতা ও গোল জাতের বেগুন আবাদ করেছি।