Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

বিয়েতে গায়ে হলুদের প্রচলন কীভাবে

বিয়ের সকালটা সবসময়ই থাকে আনন্দ আর হুটোপুটিতে ভরা। এর অন্যতম বড় কারণ হল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। হবু বর আর কনেকে হলুদ মাখিয়ে গোসল করানো হয়। অবশ্য কনের হলুদ আসে বরের বাড়ি থেকেই।

কিন্তু কখনো জানার চেষ্টা করেছেন কি? বিয়ের সকালে এই গায়ে হলুদের রীতি এল কীভাবে? পুরাণেও হিন্দু বিয়ের রীতিতে গায়ে হলুদের চল ছিল। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী হলুদ আমাদের শরীর ও মনকে শুদ্ধ করে। সেই কারণে যে কোনও শুভ কাজেই হলুদের ছোঁয়াকে শুভ বলে মানা হয়। বিয়ের পর নতুন জীবনে দুজন মানুষকে স্বাগত জানায় হলুদ।

হলুদ আমাদের ত্বকের জন্যও খুব ভালো। বিয়ের দিন সবাই চায় যে, তাকে সুন্দর দেখাক। কারণ এটি নিসন্দেবে জীবনের একটা অত্যন্ত বড় দিন। ত্বকের মরা কোষ সরিয়ে হলুদের প্রলেপ ত্বককে ঝলমলে করে তোলে। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে তাই গায়ে হলুদ মেখে স্নান ত্বককে উজ্জ্বল করে।

এছাড়া হলুদ প্রাকৃতিক ভাবে জীবাণুনাশক। হলুদ শরীরকে পরিষ্কার করে ও নানা ধরনের সংক্রমণকে ঠেকায়।সঙ্গে শরীরের তাপের ভারসাম্য বাজয় রাখে ও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এমনিতেই বিয়ের আগে থেকে অনেক চাপ চলে। ঠিক মতো নিজের খেয়াল রাখাও হয়ে ওঠে না। সকাল থেকে চলে উপোস। তাই বিয়ের সময় বর-কনেকে সুস্থ রাখার জন্য ও ছোটখাটো নানারকম সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্যই হলুদ মাখার চল।

শুভ শক্তির প্রতীক হিসেবেও ধরা হয় হলুদকে। বিয়ের শুভ অনুষ্ঠানে অশুভ দিককে দূরে রাখে হলুদ। এই সব কারণেই প্রজন্ম ধরে গায়ে হলুদ চলে আসছে বিয়েতে। আর ধীরে ধীরে হলুদ খেলা হয়ে উঠেছে বিয়ের অন্যতম এক উদ্‌যাপন।

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
দিনে এক কেজি মরিচ খান নদীয়ার শেখর সিকদার
শাহরাস্তিতে পায়ুপথ থেকে বের করা হল ডাব!
লাইফস্টাইল কী?
অক্টোবরে চালু হচ্ছে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল
জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে : রিজভী
নোয়াখালীতে খতনায় ভুল, চিকিৎসককে সেন্টমার্টিনে বদলি

অন্যান্য এর আরও খবর

সম্পাদক: অধ্যাপক মোঃ শাহাদাত হোসেন, প্রধান সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, প্রকাশক: আবু সাঈদ ইকবাল মাসুদ সোহেল, মিডিয়া ভিশন লন্ডন থেকে প্রকাশিত।   ঢাকা কার্যালয় (অস্থায়ী): শহীদ ভিলা, বাসা- ২৫, কাঠালবাগান, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২০৫