চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তাকে হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুনের রহস্য বের করেছে পুলিশ। বাবা-মায়ের নামে কটু কথা সইতে না পেরে হাতুড়ি দিয়ে রিক্তার মাথায় আঘাত করেন শুভ। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন। এরপরে ঘরে থাকা লেপে মুড়িয়ে মরদেহ বাথরুমে ফেলে পালিয়ে যান শুভ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলনে হত্যার বিবরণ তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে। এর আগে, বৃহস্পতিবার স্ত্রী হত্যার খবর জানতে পেরে রিক্তার স্বামী হারুনুর রশিদ আরব আমিরাত থেকে দেশে আসেন এবং ফরিদগঞ্জ থানায় নিজে বাদী হয়ে স্ত্রীর হত্যার ঘটনায় মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহতের আপন ভাতিজা আবদুল মালেকের ছেলে ঢাকায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ুয়া মেহেদী হাসান শুভ ও বোনের ছেলে বাপ্পী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ কুমার দে বলেন, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুবাই প্রবাসী হারুনুর রশিদের স্ত্রী এবং বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তার সঙ্গে তার আপন ভাতিজা মেহেদী হাসান শুভর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবা-মায়ের নামে কটু কথা সইতে না পেরে হাতুড়ি দিয়ে রিক্তার মাথায় আঘাত করেন শুভ। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন। এরপর ঘরে থাকা লেপে মুড়িয়ে লাশ বাথরুমে ফেলে রেখে পালিয়ে যান
সংবাদ সম্মেলন শেষে থানা পুলিশ অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শুভকে বিকেলে চাঁদপুর আদালতে পাঠায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ থানার ওসি সাইদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমন মিয়া।
জানা যায়, গত বুধবার ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের মমতাজ বেগম রিক্তা নিজের বাবার বাড়িতে নৃশংস খুনের শিকার হন। ঘটনার পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার আপন বোনের ছেলে বাপ্পী ও ভাতিজা মেহেদী হাসান শুভকে আটক করে। একপর্যায়ে মেহেদী হাসান শুভ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। পুলিশ তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক উপজেলার চরমান্দারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রগ কাটার আলামত উদ্ধার করেন।