জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বইছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এখানে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় সর্বাধিক এগিয়ে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান মিন্টু।
তাকে নিয়ে প্রচারনায় সরব হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজগুলিও। এসব প্রচারণায় ইতিবাচক সাড়া মেলেছে সর্বমহলে। তাই কামরুজ্জামান মিন্টুকে নিয়ে উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন কামরুজ্জামান মিন্টু।অদম্য মেধাবী মিন্টু লেখাপড়ার পাশাপাশি একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তুলেন তিনি। স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এই উদিয়মান ছাত্র নেতা। এরপর মেহের উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হন তিনি।রাজনৈতিক ধারাবাহিক সফলতায় আহবায়ক হন মেহের ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের।পরবর্তীতে সভাপতি হন শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগের।এইচএসসি পাশ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাথে সম্পৃক্ত হন।সেখান থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
ছাত্রজীবনের ইতি টানার পর রাজনীতিকে জীবনের সাথে আরো শক্ত করে আঁকড়ে ধরেন মিন্টু। অদম্য মেধাবী হয়ে ও সরকারি বা বেসরকারি কোন চাকরি না করে রাজনৈতিক ধ্যান জ্ঞাানে নিজেকে নিমজ্জিত করেন তিনি।পাশাপাশি জনগণের সেবায় নিজেকে আরো সম্পৃক্ত করতে রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায়ী খাতায় নাম লেখান।
বর্তমানে শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে।তার নেতৃত্বের গুণে এখানে উজ্জীবিত হচ্ছে তৃণমূলের আওয়ামী নেতাকর্মীরা।
‘দ্যা লিডার’ হিসেবে পরিচিত কামরুজ্জামান মিন্টুর রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পূর্বেই তিনি শাহরাস্তি শহর আওয়ামী লীগের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালনের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাইলফলক সৃষ্টি করেন শাহরাস্তিতে।
রাজনীতির পাশাপাশি বহু জনহিতকর কাজের সাথে ও ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে রয়েছে কামরুজ্জামান মিন্টুর নাম। তিনি সুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিকবারের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত সফলতার সাথে। পরবর্তীতে সুয়াপাড়া গোলাম কিবরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ বারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পুরস্কার অর্জন করেন।এছাড়া ও তিনি মেহের ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে একজন পরিপূর্ণ অভিভাবক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন অনন্য উচ্চতায়।
জানা যায়, ১৯৯০-৯৬ থেকে শুরু করে সকল রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ১/১১ এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দলের দুর্দিনে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনসহ নানান আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন কামরুজ্জামান মিন্টু। তার রাজপথে সাহসী অবস্থানের ফলে তাকে হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে অনেকবার।
কখোনই আন্দোলন সংগ্রামে পিছপা হননি এ ত্যাগী নেতা। দলের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকেন সর্বদা। এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের সাথে রক্ষা করে চলছেন নিবিড় যোগাযোগ। দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি শাহরাস্তির সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন সম্যকভাবে।সরকারে উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রসার ও প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালনের পাশাপাশি আর্থ সামাজিক ও সেবামূলক উন্নয়নে তিনিই সবার আগে এগিয়ে চলেন শাহরাস্তিতে। ফলে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে এ নেতার।
মাদক, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিং, যৌতুক প্রতিরোধসহ সামাজিক বিভিন্ন অসংগতি দূরীকরণ রয়েছে তার দাপুটে পথচলা।এলাকায় গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষাা বিস্তারে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে ব্যাপক যশ খ্যাতি আছে কামরুজ্জামান মিন্টুর।
এ ব্যাপারে মোঃ কামরুজ্জামান মিন্টু বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করেই ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসছি। দলের সুসময়-দুঃসময়ে পাশে থেকেছি। রাজপথের পাশাপাশি তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আশা করি শাহরাস্তির জনগণ আবারো তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মূল্যায়িত করবে।জনগণের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে শাহরাস্তি উপজেলাকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।