পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বেশির ভাগ চলে যাওয়ায় বিপিএলে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। বিশ্বে নানা প্রান্তে চলা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কারণে নামিদামি বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল দলগুলো। তবে চট্টগ্রাম পর্ব থেকেই সে সমস্যা উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। জানা গেছে, একাধিক বৈশ্বিক বড় তারকা খেলতে আসছেন বিপিএলে। সেদিক থেকে দেখলে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারে নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে বিপিএল।
রংপুর রাইডার্স যেমন এরই মধ্যে জেমস নিশাম, রিজা হেনড্রিকস, ইমরান তাহিরের মতো নামি ক্রিকেটারকে উড়িয়ে এনেছে। বিপিএলের শিরোপা পুনরুদ্ধারে মরিয়া রংপুরে সুপার ফোর থেকে খেলবেন উইন্ডিজের নিকোলাস পুরান, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এ দুই অফ ও লেগস্পিনারকে দিয়ে বাজিমাত করতে চায় বসুন্ধরার দলটি।
দক্ষিণ আফ্রিকান টি২০ লিগ শেষ হলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে যোগ দেবেন ইংলিশ ক্রিকেটার মইন আলি। তিনি ছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে চুক্তি আছে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনের মতো টি-টোয়েন্টি তারকার। তাদের সাথে শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে শেষে কুমিল্লায় খেলবেন আফগানিস্তানের চায়নাম্যান স্পিনার নুর আহমেদ।
এদিকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও বিদেশি বড় ক্রিকেটার দলে টানার চেষ্টা করছে। উইন্ডিজের পেস বোলিং অলরাউন্ডার রোমারিও শেফার্ড অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষ করে বিপিএল খেলতে ঢাকায় আসবেন। খুলনা টাইগার্স দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেরা চারে উন্নীত হলে শ্রীলঙ্কা এবং আফগান ক্রিকেটার নেবে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার খেলবেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। এ ছাড়া ১৩ ফেব্রুয়ারি দলটির সঙ্গে যোগ হবেন আরেক প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজ। সব মিলিয়ে বিপিএল জমে ওঠার অপেক্ষায়। কারণ এবারের বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটাররাই বেশি ভালো খেলছেন। শেষের দিকে প্রতিটি দলে বড় তারকা থাকলে বিশ্বকাপের ভালো প্রস্তুতি হয়ে যাবে স্বাগতিক ক্রিকেটারদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার টি২০ লিগ শেষ হয়েছে গতকাল। আইএল টি২০ লিগের খেলা ১৭ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে। যদিও এ দিন পাকিস্তানের টি২০ লিগ পিএসএল শুরু হচ্ছে। কিছু বড় তারকা পিএসএলে চলে গেলেও বিপিএলে হয়তো প্রভাব ফেলবে না। কারণ এসএ টি২০ ও আইএলে খেলা ক্রিকেটারদের একটা বড় অংশ উন্মুক্ত থাকবেন।
মূলত বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের কারণেই শেষের রোমাঞ্চ দেখা যেতে পারে বিপিএলে। ঢাকা ও সিলেট পর্বের হতাশা ভুলিয়ে দিতে পারে পারফরম্যান্স দিয়ে। কন্ডিশন ও আবহাওয়ার কারণে বিপিএলের ঢাকা ও সিলেট পর্বের চেয়ে চট্টগ্রাম পর্বে জমাট ম্যাচ হবে বলে মনে করেন বিসিবি কর্মকর্তারা। ফাল্গুনের আবহাওয়ায় কন্ডিশনেও পরিবর্তন ঘটবে।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটও ব্যাটিং অনুকূল থাকে।