তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খোঁজে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হল ট্যালেন্ট হান্ট।
শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির আয়োজনে সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুক্র (১০ মে) এবং শনিবার (১১ মে) দুই দিনব্যাপী এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে চাঁদপুরের ৭টি উপজেলা থেকে মোট ৫৩০ জন তরুণ ক্রিকেটার অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে ১০৯ জনকে বাচাই করেন বিচারকরা।
ট্যালেন্ট হান্টে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন, চট্রগ্রাম বিভাগের বয়স ভিত্তিক দলের হেড কোচ মো. শামীম আখতার ফারুকী, বাংলাদেশ জাতীয় বধির ক্রিকেট দল ও ঢাকা মেরিনার্স ইয়াং ক্লাবের হেড কোচ আনিসুল ইসলাম ভূঁইয়া নিপু, শেখ কামাল স্পোর্টস একাডেমির হেড কোচ মোশারফ বাবুসহ ক্লাব পর্যায়ের কোচরা।
উত্তীর্ণ ১০৯ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ২০ জনের বেশি লেগ স্পিনার, ৫০ জনের বেশি পেসার, ১৬ জন অফস্পিনার এবং ৬ জন অর্থোডক্স বোলার স্থান পেয়েছেন।
১০ থেকে ২১ বছর বয়সী এসব ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত পর্যায়ের বাছাই শেষে ৪০ জনকে যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্লাবের বয়স ভিত্তিক দল এবং বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগ করে দেবে শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমি। এছাড়া বাকীদের সবধরণের সুযোগ-সুবিধাসহ শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলন ও ম্যাচের সুযোগ দেওয়া হবে।
শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক প্রথম বিভাগ ক্রিকেটার সাদ্দাম হোসেন মিঠু বলেন, ‘তৃণমুল পর্যায়ের ক্রিকেটে উন্নতির জন্য এই আয়োজন। আমি মনে করি, ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের কিছু ভালো মানের খেলোয়াড় বের করে আনতে পারব। শাহরাস্তিতে থেকেও বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব, যারা ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়েও খেলতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘এই সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে ভালো মানের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমি আরও অগ্রসর হবে এবং ভালো মানের ক্রিকেটার তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।’
দুই দিনব্যাপী ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন। এছাড়া সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিব উল্যাহসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচিতে ক্রিকেটারদের জার্সির পৃষ্ঠপোষকতা করেছে নিখুঁত ফ্যাশন।