কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, শিগগিরই নিত্যপণ্যের দাম কমে আসবে। বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। মজুতদারদের বিরুদ্ধে এবার খুবই সতর্ক সরকার। কোনোভাবেই পণ্য মজুত করে ভোক্তাদের কৃত্রিম সংকটে ফেলতে দেওয়া হবে না। রমজানে জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার সজাগ রয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্ট্যান বর্নের নেতৃত্বে ইউএস কৃষি বিভাগের নয় সদস্যের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি ও কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস আলাদা বৈঠক করেন।
বৈঠক মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি সেদেশের পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, একসময় মিসরে পাটের চাষ হতো, এখন হয় না। বর্তমানে মিসরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ভালো ইন্ড্রাস্ট্রি রয়েছে। আমরা মিসরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে চাই। এক্ষেত্রে জাত, বীজ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মিসরের প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরো জানান, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। মিসর ও বাংলাদেশের মধ্যে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য মিসরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠালসহ শাকসবজি নেয়ার অনুরোধ করেন কৃষিমন্ত্রী। এছাড়া, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এসব বিষয়ে সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস। বাংলাদেশের কৃষিকে আরো বেশি রফতানিমুখী করা এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আম, আনারস প্রভৃতির জুস রপ্তানি করা যেতে পারে বলে জানান তিনি। কানাডার ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন ওর্গানাইজেশন (টিএফও) এর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংযোগ ঘটানোর বিষয়েও উদ্যোগ নিবেন বলে জানান তিনি।