Header Border

ঢাকা, শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয়: রাষ্ট্রপতি

ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে দুই দিনব্যাপী ‘একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘ক্ষমতার সঙ্গে দায়িত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। তবে ক্ষমতার যাতে অপব্যবহার না হয় সেদিকে কঠোরভাবে খেয়াল রাখতে হবে। দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আশা করেন, বিচারপ্রার্থীরা অত্যন্ত কম খরচে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ন্যায়বিচার পাবেন এবং বিচারকরা তাদের মেধা ও মননশীলতার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।

দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বিচার বিভাগকে সামিল হতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ বিভাগ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বল্প সময়ে বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিকালে যখনই প্রয়োজন হয়েছে, সুপ্রিমকোর্ট তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানকে রক্ষা করেছে। শান্তি ও সংকটে সুপ্রিমকোর্ট সংবিধানের অভিভাবক ও রক্ষক হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে; কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট ষড়যন্ত্রকারীদের সেই নীলনকশা বাস্তবয়ন হতে দেয়নি। সুপ্রিমকোর্ট সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।’

রাষ্ট্রপ্রধান সুপ্রিমকোর্টের সেই সব অকুতোভয় বিচারপতি ও আইনজীবীদের যারা বন্দুকের নলের কাছে নতি স্বীকার করেননি ও বিবেককে কখনো বিকিয়ে দেননি, তাদের ভূমিকাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের নিজ নিজ যাত্রায় অনন্য পথ অতিক্রম করেছে। উভয় দেশই এমন দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করেছে যেখানে বিচার বিভাগ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায়, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং সুশাসনের নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখতে হস্তক্ষেপ করেছে। অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশের বিচার বিভাগ, বিচারক ও জনগণ উপকৃত হতে পারে।

তিনি বলেন, এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় উপস্থিত হয়ে সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক বহুমাত্রিকতা দিয়েছেন। এ সময় তিনি ভারতের সুপ্রিমকোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিসহ অতিথিদের স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বক্তব্য দেন।

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত অনেক
বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের সুসংবাদ
হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া
রেকর্ড ভেঙে যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা
ভাঙলো ৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ওএসডি, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ

জাতীয় এর আরও খবর

সম্পাদক: অধ্যাপক মোঃ শাহাদাত হোসেন, প্রধান সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, প্রকাশক: আবু সাঈদ ইকবাল মাসুদ সোহেল, মিডিয়া ভিশন লন্ডন থেকে প্রকাশিত।   ঢাকা কার্যালয় (অস্থায়ী): শহীদ ভিলা, বাসা- ২৫, কাঠালবাগান, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২০৫