অনেক ঝাল খেতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের চারপাশেও দু-একজন হয়তো আছে। কিন্তু তাই বলে দিনে এক কেজি মরিচ খাওয়া এবং আধা কেজি মুখে মাখার মতো মানুষের সন্ধান পাওয়া কঠিন।
এ ব্যক্তির ধারণা, মরিচ খেলে কমবে না চোখের জ্যোতি। চেহারায় পড়বে না বার্ধক্যের ছাপ। বলা হচ্ছিল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নদীয়ার বাসিন্দা শেখর সিকদারের কথা।
জানা গেছে, প্রতিদিন কেজি কেজি মরিচ কেনেন শেখর। প্রথমদিকে বিষয়টাকে কেউ বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে নানান প্রশ্ন ওঠে বিক্রেতাদের মনে। তার পর জানা যায় ঘটনা।
শেখরের এ অভ্যাসের বিষয়ে তাঁর মা জানান, তারা ছিল বাংলাদেশের বাসিন্দা। সেখানে ছিল অনেক বড় সংসার। এক দিন ঢেঁকিতে শুকনো মরিচ গুঁড়ো করে ঘরে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। ওই সময় শেখরের বয়স ছিল দুই বছর। তখন হামাগুড়ি দিয়ে সেই সব মরিচ বের করে গায়ে মেখে বসেছিল শেখর। পরে দুধ, দই, ঘোল, ঢেলে তাঁকে পরিষ্কার করা হয়। সবাই তখন কান্না শুরু করলেও হাসছিল শেখর। এরপর থেকে সে একটি দুটি করে মরিচ খাওয়া শুরু করে। পরে এটি তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়।
এই অদ্ভুত কর্মকাণ্ড নিয়ে শেখর বলেন, পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই আমার মতো মরিচ খাওয়ার। যদি কেউ মরিচ খেয়ে আমাকে টেক্কা দিতে পারেন, তবে তাঁকে নগদ ৫০ হাজার রুপি পুরস্কার দেব।