যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ, অচেনা কন্ডিশন, পিচ সম্পর্কেও ধারণা নেই। এমন মাঠে বলের মতিগতি বুঝতেই খেই হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের বাজে শুরু এবং এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা অনেক সংগ্রামের পরও রান পাননি। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যামিওতে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। গুরুত্বপূর্ণ সে দুই ম্যাচের আগে উইকেট ও কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে দেশটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। অথচ শুরুর ম্যাচে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফরম্যান্স যেন বাড়ালো দুশ্চিন্তা।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের তুলনায় দশ ধাপ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভঙ্গুর দশা টাইগারদের। সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে টপ অর্ডার। দুবার জীবন পেয়েও মাত্র ১৪ রানে থেমেছেন লিটন কুমার দাস। শুরুটা ভালো হলেও ১৩ বলে ২০ রানে থেমেছেন সৌম্য সরকার। লিটনের চেয়ে এদিন বেশি হতাশ করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যর্থ এ ব্যাটার এদিন ১১ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেছেন। আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন সাকিব আল হাসান। ১২ বলে ৬ রান করে রান আউট হন তিনি। তাতে ৬৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এদিন হৃদয় রান পেলেও সেটা ছিল না টি-টোয়েন্টি সুলভ। তাকে সঙ্গ দেয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খুব একটা ঝলে উঠতে পারেননি। দুজন মিলে ৪৮ বল মাঠে থেকে দলকে এনে দেন মাত্র ৬৭ রান। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ বলে ৩১ রান করে ১৯তম ওভারে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ৪০ বলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেয়া হৃদয় ইনিংসের শেষ বলে আউট হয়েছেন ৫৮ রান করে। ৪৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। শেষদিকে নেমে ২ চারের মারে ৫ বলে ৯ রান করেন জাকের আলী।
টাইগারদের বল হাতে দারুণ ভোগানো স্টিভেন টেইলর ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সৌরভ নেত্রভালকার, আলী খান এবং জেসি সিং।