তিতাস প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা উত্তর জেলার কর্মপরিষদের সদস্য ও ওমালা পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান আতিকী বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পর জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশ গড়ার পরিকল্পনা নেন। তিনি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কারণে দেশবাসী এখন জামায়াতকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে এবং জামায়াতকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।’
রবিবার বিকালে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার ১৫ বছর জনগণের ওপর চেপে বসেছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এদেশকে স্বাধীন পেয়েছি। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর দম্ভোক্তি করে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে। এরপর পাশের দেশের ষড়যন্ত্রে এদেশের মেধাবী সেনা অফিসারদের হত্যা করে তারা। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা জুডিসিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াতের ১১ জন দেশবরেণ্য নেতাকে হত্যা করেছে। এত অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আজ আমরা স্বাধীনভাবে প্রোগ্রাম করতে পারছি।’
জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে বাংলাদেশের হাটে-মাঠে দোকান পাটে, বিভিন্ন অফিস আদালতে এবং বিভিন্ন জনতার মঞ্চে আমরা একটি শব্দ শুনতে পাই। সাধারণ মানুষ বলছে, আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলকে ক্ষমতায় দেখেছি। একটি দল বাকি আছে, এইটার নাম জামায়াত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ দেখতে চায়। ৫ আগস্টের পর জামায়াত যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেই কারণে দেশবাসী আগামী দিনে জামায়াতকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। জামায়াত এদেশে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ কায়েম করতে চায়।’
নারান্দিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. ছবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ডা. হুমায়ূন কবিরের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন তিতাস উপজেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার সামিম সরকার বিজ্ঞ, সেক্রেটারি মো. সালাউদ্দিন সরকার, দাউদকান্দি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মনিরুজ্জামান বাহালুল প্রমুখ।