একের পর এক গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে দেশের সাধারণ মানুষ, হচ্ছে প্রতিবাদ। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম (এফএইচ) হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত তোফাজ্জলের বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন জানা গেছে।
এ নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শোবিজ তারকারাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী লিখেছেন, ‘গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা হচ্ছে কেন?’
এরপর তোফাজ্জলের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি।
মেহজাবীনের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, হাস্যোজ্জ্বল তফাজ্জলের জীবনের নানা মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও। সারল্যমাখা সুন্দর হাসির মানুষটিকে হত্যার ঘটনা নাড়া দিয়েছে সবাইকে। দল-মত নির্বিশেষে সবাই এ হত্যার বিচার চাইছেন।
অভিনেত্রীর ভক্ত-অনুরাগীরা তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন। কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘আবরার ফাহাদ সে তার শেষ সময়ে একটু পানি চেয়েছিলো এবং তোফাজ্জল ভাই কে ভাত খাওয়ানো হয়। দুই ঘটনা একই রকম মনে হয় আমার এর বিচার আজকের ভিতর করা দরকার, কে মেধাবী কে ঢাবি ছাত্র এইসব এখন আর দেখার সময় না। বিচার করতে হবে, মানে করতে হবে।’
মেহজাবীন ছাড়াও পরীমণি, তমা মির্জা, মৌসুমী হামিদসহ একাধিক তারকা এ হত্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন।
উল্লেখ্য,গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। পরে কয়েক দফায় মারধর করার পর রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের জানাজা শেষে বরগুনার পাথরঘাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মা-বাবা আর ভাইয়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে।