Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
শিরোনাম :
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হাতিয়ায় দেখা মিলল বিষধর ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’ বান্দার যে কর্মের ফলে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন আল্লাহ শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে ইউএনওর মতবিনিময় সভা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে আহত ১,থানায় অভিযোগ শাহরাস্তির ঠাকুর বাজারে আগুনে পুড়ল ১৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি শাহরাস্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মেমোরিয়াল হাসপাতালকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ওএসডি, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ

শাহরাস্তিতে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের প্রতারণার প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন

শাহরাস্তিতে ছোট ভাইয়ের সাথে বড়  ভাইয়ের সম্পত্তিগত প্রতারণার প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
গত ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার পূর্ব উপলতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত মানিকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার একমাত্র পুত্র সোহেল চন্দ্র সাহা। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি সোহেল চন্দ্র সাহা। পিতা মানিক চন্দ্র সাহা। স্থায়ী ঠিকানা- টামটা কৃষ্ণপুর। আমি তাহার একমাত্র পুত্র সন্তান। পিতার শারিরীক অসুস্থ্যতার কারনে ওনার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছি।
আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার পিতা মানিক চন্দ্র সাহা উপলতা মৌজায় ২ দাগে সোয়া ২৭ শতক জায়গা ক্রয় করেন। বাবা দীর্ঘ বছর স্থানীয় ঠাকুর বাজারের ফুটপাতে ব্যবসা করে আসছেন। আমার পিতার নিজ নামে সাব কবলা খরিদমূলে ক্রয়কৃত জায়গার পিছনের অংশে আমার জেঠা নিখিল চন্দ্র সাহার ২০ শতক জায়গা রয়েছে। আমার জেঠা নিখিল চন্দ্র সাহার কনিষ্ঠ কন্যা জলি রাণী সাহার বিয়ের খরচ মেটাতে না পেরে জায়গা বেচার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওনার জায়গা আমার পিতার জায়গার পিছনে থাকায় তিনি দ্রুত বিক্রি করতে পারছেন না এবং ওনার প্রয়োজনীয় টাকাও মূল্য হিসেবে পাচ্ছেন না। তাই তিনি আমার পিতার সামনের জায়গার সাথে ওনার পিছনের জায়গা ইয়াজবদল করার প্রস্তাব দেন। আমার পিতা তার বড় ভাইয়ের এমন কথায় ও বিশ্বাসে জায়গা ইয়াজবদলে সম্মত হন।
এরই মধ্যে মাপ জরিপ করে আমার জেঠা ঠাকুর বাজার মহামায়া মুড়ার পূর্বদিকে সাহাপুর রোডের উত্তর পাশে ও মসজিদের পশ্চিমে আমার পিতার ৫ শতক জায়গা তিনি বুঝে নেন এবং তিনি আমার পিতাকে পিছনের জায়গা থেকে ৫ শতক জায়গা বুঝিয়ে দেন। আমার পিতা তার বড় ভাই নিখিল চন্দ্র সাহার বিপদের দিনে পাশে থাকতে বেশি মূল্যের জায়গার পরিবর্তে কম মূল্যের জায়গাটি গ্রহন করেন। তার কয়েক দিন পরই আমার জেঠা জায়গাটি বিক্রি করেন এবং নগদে টাকা গ্রহন করেন। এসময় জেঠা নিখিল চন্দ্র সাহা আমার পিতার কাছে যান এবং জায়গাটি রেজিস্ট্রি করে দিতে বলেন। আমার পিতা সহজ সরল বিধায় তিনি মোঃ হুমায়ুন কবির নামক এক ব্যক্তিকে ২০০৮ সালের ১৯ জুন তারিখে রেজিস্ট্রি করে দেন এবং জেঠার ৫ শতক জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিতে বললে তিনি ওনার কন্যার বিয়ের পর রেজিস্ট্রি করে দিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এভাবে তিনি দিচ্ছে দিবেন বলে পার করেছেন ১৪টি বছর। তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কালক্ষেপন করছেন বিধায় আমার পিতা পৌরসভায় এবং থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। ওই সকল অভিযোগের আলোকে আমার জেঠা বারবার স্বীকার করেন এবং বলেন জায়গাটি রেজিস্ট্রি করে দিবেন। কিন্তু তিনি অদ্যাবদী তা রেজিস্ট্রি করে দেননি। অথচ জায়গার বিক্রিত টাকায় ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারী রবিবার তার কনিষ্ঠ কন্যা জলি রাণী সাহার বিবাহ প্রদান করেন।
এক পর্যায়ে আমার পিতা স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন।
উক্ত জায়গার নথিতে রয়েছে, শাহরাস্তি পৌরসভাধীন উপলতা মৌজার সাবেক ২৪০, হালে ১১২৯ নং খতিয়ানের অধিনে ২৬৯৩ নং হাল দাগের অন্দরে সোয়া ২০ শতক জায়গা। যা আমার পিতা দখলদার থেকে ভোগ করছেন।
আমার পিতাকে জায়গার পিছনে তার জায়গা হতে মাপ জরিপ করে  ইয়াজবদলের ৫ শতক জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার পর তাতে আমার পিতা মাটি ভরাট করে বসবাস উপযোগী দুটি ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন।
কিন্তু এখানে এতবছর বসবার করার পরও তিনি আমার পিতাকে জায়গাটি রেজিস্ট্রি করে দেননি। অথচ তিনি মাপ জরিপ করে বুঝিয়ে দেয়া জায়গাটি অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারা করছেন যা আমার পিতা পরস্পরের কাছ থেকে শুনতে পান। তখন আমার পিতা জেঠার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। গত ২৯ মার্চ-২০২৩ইং তারিখে তিনি জানতে পারেন উক্ত জায়গা উপলতাবাসী আবদুল কাইয়ুম নামক এক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করেছেন। বিক্রির ৯দিন পর ইয়াজবদলের জায়গায় আমার পিতার নির্মিত দুটি বসত ঘর রাতের অন্ধকারে জেঠা তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে ভাংচুর, লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে আমার পিতার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আমরা হতদারিদ্র ও অসহায় বিধায় উক্ত ঘটনার প্রতিকার ও বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। নিখিল চন্দ্র সাহা একজন শীর্ষ প্রতারক। এমন প্রতারকের হাত থেকে আমার পিতার জায়গাটি উদ্ধার করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

এবিষয়ে ধর্মীয় পবিত্র তীর্থস্থান শ্রীশ্রী মেহার কালীবাড়ি কার্যকরী সংসদ, শাহরাস্তি উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, হাজিগঞ্জ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।
এবিষয়ে স্থানিয় সংসদসদস্য গরীব অসহায় মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের নজরদারিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
হাতিয়ায় দেখা মিলল বিষধর ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে ইউএনওর মতবিনিময় সভা
শাহরাস্তির ঠাকুর বাজারে আগুনে পুড়ল ১৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
চুয়াডাঙ্গার পর পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু
শাহরাস্তিতে আবুল কাশেম হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
সুস্থ ও সবল জাতি গড়ে তুলতে প্রোটিনের রয়েছে বিরাট অবদান—– রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম

সারাদেশ এর আরও খবর

সম্পাদক: অধ্যাপক মোঃ শাহাদাত হোসেন, প্রধান সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, প্রকাশক: আবু সাঈদ ইকবাল মাসুদ সোহেল, মিডিয়া ভিশন লন্ডন থেকে প্রকাশিত।   ঢাকা কার্যালয় (অস্থায়ী): শহীদ ভিলা, বাসা- ২৫, কাঠালবাগান, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২০৫