চাঁদপুর প্রতিনিধি
জাটকা এবং মা ইলিশের পাশে, আমরা আছি প্রতিটি নিঃশ্বাসে” এ শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারন করে চাঁদপুরে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের এ বছর ১৫ তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের দ্বিতীয় দিন বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে অতিবাহিত হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহা পরিচালক ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসেন।
তিনি বলেন, চাঁদপুরে চতুরঙ্গ অনেক দিন ধরে ইলিশ উৎসব করে আসছে। তাই চাঁদপুর ইলিশের জন্য ব্র্যান্ডিং হয়েছে। ইলিশ যেখানে বাস করে সেখানেই গবেষণা করা হয়। পদ্মার ইলিশ কেন নাই। ইলিশ হলো গভীর জলের মাছ। যদি নদীর নাব্যতা দেখা দেয় তাহলে ইলিশ চলবে কি ভাবে।নদীকে নাব্যতা ও ডুবোচর মুক্ত করতে হবে। তাহলে পদ্মায় মেঘনায় ইলিশ বিচরন করতে পারে। আমাদের মাটির নিচে অনেক খনিজ সম্পদ রয়েছে। সে গুলো সরকারি সম্পদই নয় জনগনের সম্পদ।
আজকে ইলিশ উৎসবে একটি সংকট রয়েছে, সেটা হলো তাহমিনা হারুন। সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে বেহস্তবাসী করে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুধু যেন শহর কেন্দ্রীক না রেখে উপজেলা কেন্দ্রীক করলে সাংস্কৃতিক কার্মকণ্ডের আরো প্রসারিত হবে।
ইলিশ উৎসবের আহবায়ক কাজী শাহাদাতের সভাপতিত্বে ও ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যানের অ্যাডঃ বিণয় ভূষণ মজুমদার।
বিকাল থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগিত পরিবেশ করেন চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী শুভ্র রক্ষিত, রাজীব চৌধুরী, মুন্না ঘোষ, প্লাবন ভট্টাচার্য্য, এমএইচ বাতেন সহ শিল্পীরা। তারপর উদয়ন সংগীত বিদ্যালয়,বাউল শিল্পী গোষ্ঠী, নৃত্যাঙ্গনের শিল্পীদের নৃত্যানুষ্ঠান।তাছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করে বাউল সজিব দত্ত, রাবেয়া আক্তার ও নওমী জামান।