দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি)আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের সমর্থনে বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও পৌর মেয়রর আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, ৯৬ সালে আমি যখন প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছি, তখন অবকাঠামোগত উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিলোনা। ওই সময়ে কিছু কাজ করেছি আর গত ১৫ বছরে প্রায় ৮০ ভাগ উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছি। আগামিতে ৮০ ভাগ সময় দিবো মানুষের মঙ্গলের জন্য এবং মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য। গত সংসদে ভাতার মাসিক ৭’শ টাকা থেকে কমপক্ষে ২ হাজার টাকার করার জন্য আমি বক্তব্য দিয়েছি।
আবারো সংসদে এ বিষয়ে বক্তব্য দিবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের ভোটে আমি নির্বাচিত হলে প্রতিটি গরিব-অসহায় মানুষ, যাদের আয় একেবারে সীমিত, তাদেরকে হাসপাতালে বিনামূল্যে সব চিকিৎসা দিতে হবে। সে বক্তব্য রাখবো এবং আমার দাবি বাস্তবায়নে কাজ করবো। বর্তমান প্রজন্মের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করে কাজ করে যাবো। আমি অতিতে যেমন নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছি, আগামি দিনেও আপনাদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবে।
রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আপনারা নৌকায় ভোট দিন। আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা। অন্য কোন প্রতীক নেই। এখন কেউ যদি বলে আমি আওয়ামী লীগের, কিন্তু প্রতীক ভিন্ন। তাহলে বুঝবেন, সে আওয়ামী লীগের নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বার বার নৌকা প্রতীক দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন, আর আপনারাও আমাকে ভোট দিয়েছেন। এবারো তিনি আমাকে ষষ্ঠবারের মতো নৌকা প্রতীক দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। কারণ, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, আমার হাজীগঞ্জ-শাহারাস্তিবাসী আমার উপর আস্থা রাখেন।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা জানে আমার কারণে বাজারে চাঁদাবাজি হয়না। সাধারণ মানুষ জানে, আমি আছি বলেই সন্ত্রাসীরা বেশি লাফালাফি করতে পারে না। তারা চাচ্ছে, আমাকে সরিয়ে এই এলাকায় দখলে নিয়ে আপনাদেরকে জিম্মি করবে। সেটা হতে দিবেন না। কোন সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজী এখানে চলতে দিবোনা। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে ওইসব শয়তানের রাস্তা আমরা বন্ধ করে দিবো। আমি কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজকে আশ্রয় দেই না। সেজন্যই তারা একসাথ হয়েছে।
এসময় নিন্দা জানিয়ে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি বলেন, আমি শুনেছি প্রয়াত দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রব সর্ম্পকে তারা কিছু কটুক্তি করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। রব সাহেব আমাদের শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি। তিনি হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তির গৌরব ছিলেন। ওইসব ব্যক্তিদের যারা কটুক্তি করে, তারা নিন্ম পরিবারের। তারা ভালো মানুষ নয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিনের উপস্থাপনায় জনসভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন মাজিদ থেকে তেলওয়াত করেন, হাফেজ মো. নাদিম। এরপর পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনের স্বাগত বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খালেদুর রব মিঠু। এ সময় বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদ, আবু তাহের, ফরহাদ হোসেন রতনসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন মজুমদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইকবালুজ্জামান ফারুক, সেলিম মিয়া, অধ্যাপক স্বপন কুমার পাল, অধ্যাপক মো. সেলিম, সৈয়দ আহাম্মদ খসরু, হুমায়ুন কবির লিটন, রোটা. এস.এম মানিকসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম গাজী, যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ফরিদুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক রাজন চন্দ্র সাহা, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বিসহ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।