দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। এর ফলে এ স্থলবন্দরে পাইকারিতে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে মিলছে ২৮-৩০ টাকায়। এছাড়া আমদানির খবরে হিলি বাজারেও কমেছে দাম। এতে খুশি বন্দরে আলুর ক্রেতারা।
শনিবার বিকেলে আলুবাহী ট্রাক দেশে ঢোকার মধ্য দিয়ে আমদানি শুরু হয়। বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে তিন ট্রাকে ৭৫ টন আমদানি আলু হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহমেদ কবির বাবু বলেন, বর্তমানে দেশে আলুর মৌসুম। এরপরও দাম কমছে না। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। শনিবার এলসির বিপরীতে ১০০ মেট্রিক টন আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমদিন তিন ট্রাকে ৭৫ টন আমদানি হয়েছে। আরো ২৫ টন আমদানির কথা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভারত থেকে প্রতি টন আলু ১৫০ ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। দেশে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে কেজিতে ৭ টাকা। আমদানি খরচ ও শুল্ক মিলিয়ে আলুর কেজি বন্দরে এসে পৌঁছাতে দাম পড়ছে ২৭-২৮ টাকা। ফলে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে পারবো আমরা। তবে কাস্টমসে শুল্ক আদায় কমলে দাম ২৫ টাকার নিচে নেমে যেতো।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, গত দুই দিন ধরে বাজারে আলুর সরবরাহ বেড়ে গেছে। এজন্য আমরা ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বুধবার আলু আমদানির সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। ঐদিন থেকেই অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হিলির ৫০ আমদানিকারক ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। শনিবার বিকেল থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসব আলু ছাড় করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আলু আমদানি শুরু হওয়ায় রাজস্ব আহরণ বাড়বে। বন্দরের দৈনন্দিন ও শ্রমিকদের আয়ও বাড়বে।
দেশে আলুর দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ৩০ অক্টোবর সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানির মেয়াদ ছিল গত বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এরপর থেকে আমদানি বন্ধ ছিল।