কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মহান আল্লাহর নিদর্শনও বটে। কোরবানির বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনও কোরবানি বাদ দেননি। কাজেই সামর্থ্যবান মুসলমানরা অবশ্যই কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভে তৎপর হবেন এবং সুযোগ হলে নিজের পক্ষ থেকে কোরবানির পাশাপাশি জীবিত বা মৃত স্বজনদের পক্ষ থেকে কোরবানি করবেন।
সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি আদায় না করা বড় অপরাধ। মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে আদেশসূচক বাক্যের মাধ্যমে কোরবানির নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ ছাড়া পবিত্র কুরআনে কোরবানির আলোচনা সবিস্তারে বর্ণিত হয়েছে। কোরবানির বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনও কোরবানি বাদ দেননি। সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি আদায় না করা জঘন্য অপরাধ এবং চূড়ান্ত কৃপণতা। এমন ব্যক্তিদের ঈদগাহে আসাই উচিত নয় মর্মে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সতর্ক করেছেন।
কোরবানি অর্থ নৈকট্য, সান্নিধ্য, উৎসর্গ। ঈদুল আজহার দিনগুলোতে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে ‘কোরবানি’ বলে। কোরবানির বিধান প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর যুগ থেকেই চলে এসেছে। তবে বর্তমানে প্রচলিত কোরবানির গোড়াপত্তন করেন হজরত ইবরাহিম (আ.)। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি তাঁর (ইসমাইলের) পরিবর্তে জবাই করার জন্য দিলাম এক মহান জন্তু। আর আমি এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি।’ -সুরা সাফফাত : ১০৭-১০৮
মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর রাসুলকে কোরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তোমার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ো ও কোরবানি করো।’ -সুরা কাউসার : ২
কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিন কোরবানি করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত।’ জামে তিরমিজি : ১৪৯৩
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।’ ইবনে মাজাহ : ৩১২৩