Header Border

ঢাকা, রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

সীমান্তে ফের বিস্ফোরণ, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উদ্বেগ

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে প্রায় এক দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ফের বদলে গেছে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তমব্রু সীমান্তে গোলাবারুদের প্রচণ্ড বিস্ফোরণ শোনা যাচ্ছে। কাঁপছে পুরো সীমান্ত এলাকা।

 

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুমধুম সীমান্তের কাছে কোনো প্রকার গোলাবারুদ বা মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়নি। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে আবারও থেমে থেমে শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে তা সীমান্ত থেকে দুই-তিন কিলোমিটার দূরে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে মর্টার শেল ও গোলা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। ঘুমধুম সীমান্তবর্তী পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান সোমবার বন্ধ রাখা হলেও মঙ্গলবার শুরু হয়। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী জানিয়েছেন।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি কঠোর নজরদারিসহ সজাগ দৃষ্টিতে পর্যাবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি ভিন্ন হলে প্রয়োজনে বন্ধ রাখা হবে। তা ছাড়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধান শিক্ষকরাও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটা শিক্ষকদের বলা হয়েছে।‘

সীমান্তবর্তী লোকজন জানিয়েছে, সীমান্তের কাছাকাছি সংঘাত না হলেও মিয়ানমারের ভেতরে সংঘাত তীব্র হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্রোহী আরাকান আর্মি ক্রমাগত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাচ্ছে আর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্রমাগত পেছনে যাচ্ছে। সীমান্ত থেকে সাত-আট কিলোমিটার ভেতরে সংঘর্ষ হচ্ছে বলে মনে করছে তারা।

বিজিবির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে বলে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন জানিয়েছেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উদ্বেগ, প্রত্যাবাসনে ছন্দপতন:

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নতুন করে সংঘাতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কক্সবাজারে উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। তাদের দাবি, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জান্তা সরকারের সংঘাতের কারণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন হতে পারে। এতে ফের বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যাবাসন বাধাগ্রস্ত হবে।

উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘মিয়ানমারের মংডু ও আকিয়ার শহরের আশপাশের গ্রামে এখনও চার-পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা আছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেখানে জান্তা বাহিনী বোমাবর্ষণ, নির্যাতন করছে। এতে অনেকেই হতাহত হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের অনেকেরই গ্রাম ছেড়ে পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়ার খবর আসছে।’

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোবাইর জানান, ‘মিয়ানমার আমাদের একবার গণহত্যা চালিয়ে দেশছাড়া করেছে। তখন বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছে। মিয়ানমার আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে না। তারপরও বাংলাদেশ চীনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে।’

রাখাইনে সংঘাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ থমকে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অনেক এগিয়ে গিয়েছিল। তার ছন্দপতন হয়েছে। সংঘাত হয়তো দীর্ঘমেয়াদি হবে না। আশা করি, পরে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর জন্য সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনোভাবেই নতুন অনুপ্রবেশ না হয়।’

প্রিয় পোষ্ট সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন
অবশেষে কারামুক্ত হলেন আল্লামা মামুনুল হক
শাহরাস্তিতে পায়ুপথ থেকে বের করা হল ডাব!
থানচিতে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি
উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
আন্তঃজেলা চোর চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
শাহরাস্তিতে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত।

শীর্ষ সংবাদ এর আরও খবর

সম্পাদক: অধ্যাপক মোঃ শাহাদাত হোসেন, প্রধান সম্পাদক: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, প্রকাশক: আবু সাঈদ ইকবাল মাসুদ সোহেল, মিডিয়া ভিশন লন্ডন থেকে প্রকাশিত।   ঢাকা কার্যালয় (অস্থায়ী): শহীদ ভিলা, বাসা- ২৫, কাঠালবাগান, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২০৫